ঢাকা      রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শিরোনাম

গণভোটে ‘না’ ভোট দেওয়ার ক্যাম্পেইন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে: আখতার হোসেন

IMG
16 November 2025, 1:33 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন অভিযোগ করেছেন, ইদানীং একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা গণভোটে ‘না’ ভোট দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ, গণভোট এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কারগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে তারা মোটা দাগে একমত হয়েছেন। কিন্তু ইদানীং একটি দলের নেতারা চূড়ান্তভাবে গণভোটের রায়কে প্রত্যাখ্যান করার মতামত ব্যক্ত করছেন। তারা গণভোটে ‘না’ দেওয়ার জন্য ক্যাম্পেইন করছেন। কিন্তু দেশের জনগণ সেটাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

জাতীয় কৃষি দিবস উপলক্ষে ‘তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা: জাতীয় অর্থনীতির নতুন শক্তি’ শীর্ষক এক সেমিনারে আখতার হোসেন এ কথা বলেন। শনিবার বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বার্ক) এই সেমিনারের আয়োজন করে এনসিপির ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারিস্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশ (এনএএবি)।

দু'টি বড় রাজনৈতিক দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোটকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বলে অভিযোগ করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, একটি দল কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম চাওয়ার কথা বলে জনগণের প্রত্যাশিত রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার যে সংস্কার, সেটিকে গৌণ করে ফেলেছে। আবার আরেকটি দল ‘আলু না গণভোট’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে আলুর যে ন্যায্য দাম, অর্থাৎ কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম যে কৃষকরা পাচ্ছেন না; সেটাকে গৌণ করে ফেলেছে। কৃষি পণ্যের ন্যায্য দাম এবং সংস্কারের জন্য গণভোট—দু'টিই একইভাবে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

রাজনীতিতে জুলাই সনদের বিষয় নিয়ে অনেকগুলো দল যে ধোঁয়াশা তৈরি করেছে, সেটাকে তারা সন্দেহের চোখে দেখেন বলে জানান আখতার হোসেন। গণভোটের রায় মানা বাধ্যতামূলক হবে কি না, গণভোটের রায়ের মধ্য দিয়ে সংবিধানের সংশোধনী আনা যাবে কি না—এসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে উল্লেখ করেন তিনি বলেন, গণভোটের ফলাফল বাধ্যতামূলকভাবে মানতে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করছেন, তারা প্রকারান্তরে জনরায়কে, জনগণের ম্যান্ডেটকে প্রত্যাখ্যান করছেন। যারা জনগণের ম্যান্ডেটকে প্রত্যাখ্যান করবেন, জনগণও তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করবেন।

জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ জারি করা হয়েছে, তার অনেকগুলো জায়গায় অস্পষ্টতা রয়েছে বলেও দাবি করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, সংস্কারকে ভাগ করে ফেলা হয়েছে সরকারের মর্জিমতো। সংস্কারের বিষয়বস্তুগুলোকে রাজনৈতিক দলের আওতাধীন করে ফেলা হয়েছে, তাদের মতিগতির ওপরে, তাদের অভিরুচির ওপরে। এমন অস্পষ্ট অবস্থায় রেখে বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে জুলাই সনদের মধ্য দিয়ে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশে যেসব অস্পষ্টতা রয়েছে, সেগুলো সরকারকে অতি দ্রুত দূর করার আহ্বান জানান তিনি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য জুলাই সনদের ব্যাপারে কোনো রাজনৈতিক দল আপত্তি প্রদান করবে না, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন আখতার হোসেন।

ব্রেকিং নিউজ, এই মুহূর্তের খবর, প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর, লেটেস্ট নিউজ এবং গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন