ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী। তাদের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবদানকে অগ্রাহ্য করার সুযোগ নেই। নীতি নির্ধারণী পর্যায়সহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে অ্যামচেম আয়োজিত এই আলোচনা অনুষ্ঠান নারীর আর্থ-সামাজিক ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ।
স্পীকার আজ সোমবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম)-এর উদ্যোগে আয়োজিত 'উইমেন ইন বিজনেস: এমপাওয়ারিং বাংলাদেশ ফরওয়ার্ড' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্পীকার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে সরকার কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ নির্মাণে নিরলস কাজ করছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের এই অগ্রযাত্রায় নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার লিঙ্গ সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হার পাওয়ার’ নামে প্রকল্প বাস্তবায়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং প্রত্যেককে এককালীন ২০ হাজার টাকা করে পুঁজি সরবরাহ করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক শক্তি হবেন স্মার্ট নারী উদ্যোক্তা। তাই নারীদের উৎসাহিত করতে হবে। উন্নয়নের মূল স্রোতে নারীদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে ব্যবসায় অধিকতর নিয়োজিত হওয়া জরুরি। ব্লু ইকোনমিতেও নারীদের সম্পৃক্ত হতে হবে। সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ সহায়তা, ব্যাংকিং সহায়তাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে। সঠিক তথ্য পাওয়ার অধিকার ও অন্যান্য সহায়তা নারীদের জন্য বিস্তৃত করা হয়েছে। কোভিড পরবর্তী নিও-নরমাল পরিস্থিতিতে নারীদের মেধা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান স্পীকার।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মার্কিন দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অফ মিশন হেলেন লাফাভে এবং সেমস-গ্লোবালের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেরুন এন ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com