ঢাকা      মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০
শিরোনাম

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রশ্নই আসে না: তথ্যমন্ত্রী

IMG
06 April 2023, 5:38 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যই করা হয়েছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এই আইনটি বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, তবে এই আইনটির মাধ্যমে যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হয়, সে দিকটি বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে। আইনটির যাতে অপব্যবহার না হয়, সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সে ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশের আইনের চেয়ে অনেক সহজ বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আমেরিকায় যে আইন আছে, ২০১৫ সালে যেটি করা হয়েছে। পরে ২০২২ সালে সেটি আবার সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শাস্তি রাখা হয়েছে ২০ বছরের কারাদণ্ড। আমাদের আইনে অত কারাদণ্ড নেই।

‘ডিজিটাল অপরাধের জন্য যদি কারও মৃত্যু হয়, তবে আমেরিকার আইনে তাতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রাখা হয়েছে। যে কারণে আমাদের আইন তাদের চেয়ে অনেক সহজ,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সাইবার অপরাধের জন্য অস্ট্রেলিয়ার আইনও আমাদের চেয়ে কঠিন। ২০২২ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে আরেকটি আইন করেছে। সব দেশেই এ আইন আছে। সুতরাং এ আইন বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে এ আইন।

‘তবে এ আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সেটি নজরে দেয়া প্রয়োজন। আমরা এ ব্যাপারে সতর্ক আছি। আগের তুলনায় এ আইনে সাংবাদিকরা কম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এখনো হচ্ছেন।’

তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে এর আগে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আরও কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, সেটি আইন মন্ত্রণালয় দেখছে। সব আইনেরই অপব্যবহার হয়। কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনই না।

উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, আইনজীবীরাই বলেন নারী নির্যাতনের আশি ভাগ মামলা ভুয়া। এভাবে অনেক আইনের অপব্যবহার হচ্ছে।

অপরাধ নিয়ে রিপোর্ট করলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার করার হুমকি দেয়া হয়। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যারা অপরাধী, তারা-তো হুমকি দেবেই। কেবল সাংবাদিকদেরই না, অনেককেই হুমকি দেয় অপরাধীরা। যা সমীচীন না। কিন্তু সাংবাদিকরা সাহস নিয়ে কাজ করলে সমাজ উপকৃত হবে।

এ সময়ে সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের সচেষ্ট থাকার কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, সাংবাদিকদের সহায়তায় সরকার সচেষ্ট, সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা যাতে কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হন, মন্ত্রী হিসেবে আমি সেই খেয়াল রাখব ও রেখে আসছি। এ বিষয়ে কেউ যদি আমার নজরে আনে, কিংবা আমার নজরে আসে, তখন তাকে সাধ্যমত সহায়তার চেষ্টা করি। মন্ত্রী হিসেবে যেমন আপনাদের সঙ্গে আছি, যখন থাকব না, তখনও থাকব।

বিএনপি নিয়ে এক প্রশ্নে দলটির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কথা তুলে ধরেন আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, মাঝে মাঝে বিএনপি জোট বড় হয়, ছোট হয়। আকার বড় হয়, আবার আকার ছোট হয়। অ্যামিবার মতো আকার বড় হয়, আবার মাঝেমধ্যে ভাগ হয়ে যায়। বিএনপির জোটও হচ্ছে সে রকম। অ্যামিবা যেমন নিজেকে ভাগ করে দুটি হয়ে যায়, আবার চারটি হয়। দেখা গেল, ওদের ২২ দলীয় জোট ছিল, আবার সেটি ভাগ হয়ে ১২ দলীয় হয়ে গেল। আবার কয়দিন পর শুনি ৫৪ দলীয় জোট। এ জন্যই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। আবার তাদের মধ্যে ডান, বাম, অতি ডান, অতি বাম—সবই আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, সবাইকে একত্রিত করে একটি ঘোষণাপত্র দেয়া বিএনপির জন্য তো কঠিন কাজ। আবার বিএনপির মধ্যে কয়েকটি ভাগ আছে। তাদের মধ্যে চেয়ারপারসনের ধারা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের ধারা, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ধারা, সংস্কারপন্থীদের ধারা। সব ধারাকে একত্র করে কিছু করা—সেটি কঠিন কাজ। সেই কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে তারা আছে।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন