ঢাকা      মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

সরকার এখন আবোল তাবোল বলতে শুরু করেছে : মির্জা ফখরুল

IMG
19 June 2023, 10:20 PM


বগুড়া, বাংলাদেশ গ্লোবাল: সরকার এখন আবোল তাবোল বলতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এরা কী বলছে না বলছে নিজেরাই জানে না। সরকার নাকি কারো ভয়ে ভীত নয়। তাহলে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরে বললেন কেন- আমাকে তারা সরিয়ে দিতে চায়। এই সরকার এতো কাপুরুষ, তারুণ্যের সমাবেশে হাজার হাজার তরুণ আসবে বলে মহাসড়কে গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছে। গাড়ি চলতে দিলে বগুড়া শহরে তরুণদের জায়গা হতো না।

সোমবার (১৯ জুন) বিকেলে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত কঠিন সময় পার করছি আমরা। এ রকম কঠিন সময় আগে কখনো আসেনি এদেশে। সরকার বন্দুকের ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে পাকিস্তানি হায়নাদের মতো।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আমাদের কথা পরিষ্কার করে বলেছি। দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আমাদের ভোটের অধিকার ফেরত পেতে চাই। আমরা বাংলাদেশকে স্বৈরশাসক থেকে রক্ষা করতে চাই, লুটপাট বন্ধ করতে চাই, মানুষের অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে দিতে চাই।

সরকারের উন্নয়ন নিয়ে বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু উন্নয়ন উন্নয়ন করছেন আপনারা। আরে উন্নয়ন তো মানুষ বুঝতেই পারে না। কয়েকটা সেতু, কয়েকটা ফ্লাইওভার আর কয়েকটা টানেল বানালেই কি উন্নয়ন হয়? উন্নয়ন বলে সেটাকে, যখন দেশের মানুষ দুবেলা খেতে পারবে, যখন নতুন কাপড় পরতে পারবে, যখন মা-বোনরা নিরাপত্ত পাবে। তোমরা সাধারণ মানুষের কোনো চিন্তাই করোনি। তোমরা শুধু চিন্তা করেছো, কী করে নিজেরা ধনী হবে, তোমার পরিবার ধনী হবে। এই সরকার নাকি যা করেছে, তা কেউ করেনি। এতদিনে কী করেছে? লম্বা লম্বা মেগা প্রোজেক্ট করেছে, তার তিন-চারগুণ টাকা নিয়ে এসেছে। শুধু ঋণের বোঝে আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে।

তরুণদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তরুণরা একাত্তরে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। নব্বইয়ে আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। আজ সেই তরুণদের ওপর দায়িত্ব এসেছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করবার, ভোটের অধিকার রক্ষা করবার, চাকরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কাপড়ের অধিকার রক্ষা করবার। আজ সেই লক্ষ্যে আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হবে। এ লড়াই সমগ্র জাতির জন্য।

মির্জা ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ৫ বছর যাবৎ কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ অসুস্থ। আমাদের ৪০ লাখ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য। আমাদের ৬০০ নেতার্মীকে খুন করা হয়েছে। যারা গুম করছে, খুন করছে, তাদেরকে সরিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন অবশ্যই এ দেশে হবে। সেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে, ৪০ লাখ মানুষের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। তার আগে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ছলচাতুরীর মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে একতরফা নির্বাচন করে জনগণের ক্ষমতা নিয়ে গেছে। সরকার নির্বাচনের আগে বলেছিল, ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, ১০ টাকায় চাল দেবে। সেবার হিজাব পরেছিল মাথায়, হাতে তাসবিহ নিয়েছিল। সকলের সামনে গিয়ে বলেছিল, আমরা ভুলত্রুটি হলে মাফ করে দেবেন। দয়া করে আমাকে একবার ভোট দেন।

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এইচএম

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন