ঢাকা      শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

IMG
13 October 2023, 12:03 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪র্থ বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো (ব্লিস)-২০২৩ উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান।

এদিন আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে চামড়া শিল্পে বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রথমত, বাণিজ্যিক খামার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং গবাদি পশু পালনে বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশে বছরে ২৫ লাখ গবাদি পশু উৎপাদিত হচ্ছে।

দ্বিতীয়ত, মাত্র এক দশক আগে দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসতো কাঁচামাল হিসেবে চামড়া রপ্তানি থেকে। কিন্তু সরকারের প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তায় উচ্চমূল্য সংযোজন পণ্য, যেমন- পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য শিল্পের সম্প্রসারণ হয়েছে। এখন এ খাতের রপ্তানি আয়ের প্রায় ৯৩ শতাংশ আসছে পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য থেকে।

তৃতীয়ত, হাজারীবাগের পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে আমাদের সরকারই সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়ে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিপূর্ণভাবে সাভারে আধুনিক শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করেছে।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (যেমন বেপজা) অধীনে একটি ‘চামড়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ প্রতিষ্ঠা করার ঘোষণা দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক ‘চামড়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ করে দেওয়া হবে, যাতে এই খাতের ছোটখাট নানা সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব হয়।

এ খাতের সমস্যা সমাধানে এবং কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে অঞ্চলভিত্তিক অত্যাধুনিক কসাইখানা প্রতিষ্ঠা এবং ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার চিন্তা-ভাবনা তার সরকারের রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঢাকার সাভারের পর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর নাম উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান সরবরাহের পুরোটাই ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরি করে রপ্তানি করতে পারলে অনায়াসে ২০২৫ সালের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা খাত থেকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় সম্ভব হবে। তবে, এক্ষেত্রে পণ্য রপ্তানিতে বৈচিত্র আনয়ন এবং রপ্তানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসির এই যুগে সরকার আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করতে এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে। আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। যার ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন বিনিয়োগ এবং সোর্সিং-এর জন্য সর্বাধিক অনুকূল গন্তব্য হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনা রুটের মধ্যে পড়ায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের একটি সেতুবন্ধ হতে পারে। সেভাবেই বাংলাদেশকে উন্নত করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জোনাথন ববেট এবং গোল্ডেন চ্যাং গ্রুপের বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠাতা জেমস হো।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এইচএম

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন