ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: নাশকতার মামলায় সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর ১১ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের হাজির করে পুলিশ। এসময় বাড্ডা থানার নাশকতার মামলায় আসামি দুলুকে কারাগারে আটক ও অপর ১১ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. রিপন উদ্দিন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
এসময় আসামি দুলু নিজে কথা বলতেন চান। বিচারক অনুমতি দিলে তিনি বলেন, এক মাস পরপর আমার কেমোথেরাপি দিতে হয়। আমেরিকা থেকে ওষুধ না আসায় গত ৩ অক্টোবর দিতে পারিনি। এখন মেডিসিন এসেছে। কেমোথেরাপি দিতে অনেক টাকা লাগে কিন্তু ম্যানেজ করতে পারছিলাম না। অনেক কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করেছি। চিকিৎসক বলেছেন, আমি আর চার বছর বাঁচবো। তার মধ্যে এক বছর চলে গেছে।উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার দুলুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এছাড়া অন্য ১১ আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, আবির ইসলাম সাত্তার, মো. তাজ মোহাম্মদ খান মামুন, মো. শিমুল বিশ্বাস, মো. সোহেল, মো. মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু, মাকসুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও শাহীনুর রহমান।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহবুব হক সজিব মামলার বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বাড্ডা থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় বাড্ডা থানাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে- এমন সংবাদ পান। এরপর রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরাসহ এজাহারনামীয় পলাতক ও অজ্ঞাত আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এতে এসআই মানিক কুমার সিকদার গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এএসআই মো. আল মামুন পারভেজ ও কনস্টেবল মোতাহার হোসেনসহ সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসারদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে আসামিরা। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, ঘটনাস্থলে তারা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও স্বীকার করে, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সৃষ্টি করে দেশে অরাজকতার মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টসহ সরকার পতনের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোক ঢাকায় সমবেত করে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com