মাওলা সুজন, নোয়াখালী, বাংলাদেশ গ্লোবাল: নোয়াখালীর চাটখিলে পেহা আক্তার (৭) নামে এক শিশুকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এ হত্যার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত পেহা আক্তার উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের সালামত পাটোয়ারী বাড়ির ফারুক হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদরাসার প্রথম জামাতের ছাত্রী ছিল।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গতকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন একটি পুকুর পাড় থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের মামা মো.ফাহাদ বলেন, পেহা রোববার দুপুরের দিকে তার বাবাকে বাড়িতে না দেখে খুঁজতে বের হয়। ওই সময় তাদের বাড়ির পাশে একটি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন চলছিল। পেহা সেখানে গিয়ে ছোট বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করে। পরবর্তীতে দুপুর ২টার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। এরপর তার বাবা বাড়িতে এসে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে এক ব্যক্তি জষড়া গ্রামের মোল্লা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ে পেহার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটাকে হত্যা মনে হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে থানায় এনে হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরাে বলেন, ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত আরাে জানা যাবে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com