এসআই মিলন, গাইবান্ধা: সাঁওতালসহ সকল ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় গাইবান্ধায় সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা উন্মুক্ত মঞ্চে এ সাঁওতাল-বাঙালি সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করে। ‘এই ভূমির মানুষের সুকৃতি, আদিবাসী-বাঙালি সংস্কৃতি’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে গাইবান্ধা নাগরিক সংগঠন ও বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা অবলম্বন এ উৎসবের আয়োজন করে।
উৎসবে শতাধিক সাঁওতাল-উড়াওঁ সহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নারী-পুরুষরা অংশগ্রহণ করে।
র্যালি শেষে গানাসাস মিলনায়তনে জনউদ্যোগের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মাজহারউল মান্নান, আদিবাসী বাঙালি সংহতি পরিষদের আহবায়ক অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, নারী নেত্রী অঞ্জলী রানী দেবী, নাজমা বেগম, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোর্শেদ দীপন, শিক্ষক আহাদুজ্জামান রিমু, অবলম্বনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এ.কে.এম. মাহবুব আলম মুকুল, সাঁওতাল নেত্রী মারিয়া মুর্মু, তেরেসা সরেন, ইয়ুথ নেতা সান্তনা রবিদাস প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাঁওতালসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হারিয়ে যেতে বসেছে। তাদের সংস্কৃতিও বিলুপ্ত হচ্ছে। এরা বাংলাদেশের দরিদ্রতম প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, অধিকাংশই ভূমিহীন। আদিবাসীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করে আদিবাসী ও তাদের সংস্কৃতি বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানান।
শেষে বাঙালিসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীরা এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশন করে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com