ঢাকা      শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
শিরোনাম

রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে এনআইডি, জন্মসনদ ও পাসপোর্ট তৈরি, ২৩ জন গ্রেফতার (ভিডিও)

IMG
26 February 2024, 3:02 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দাগী অপরাধী ও রোহিঙ্গাদের অবৈধভাবে জন্মসনদ, এনআইডি ও পাসপোর্ট বানিয়ে দেয়া চক্রের ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃরা হচ্ছেন রোহিঙ্গা উম্মে ছলিমা ওরফে ছমিরা, মরিজান, রশিদুল, রোহিঙ্গা দালাল আইয়ুব আলী ও মোস্তাকিম, আনসার সদস্য জামসেদুল ইসলাম ও মোঃ রায়হান, বাংলাদেশি দালাল রাজু শেখ, শাওন হোসেন নিলয়, ফিরোজ হোসেন, মোঃ তুষার মিয়া, মোঃ শাহজাহান শেখ, মোঃ শরিফুল আলম, জোবায়ের মোল্লা, শিমুল শেখ, আহমেদ হোসেন, মোঃ মাসুদ আলম, মোঃ আব্দুল আলিম, মোঃ মাসুদ রানা, ফজলে রাব্বি শাওন, রজব কুমার দাস দীপ্ত, আল আমিন ও মোঃ সোহাগ। তারা পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে।

গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রাজধানীর আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও বাড্ডায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট সংক্রান্ত ডকুমেন্ট, পাসপোর্ট এবং কম্পিউটারসহ তিনজন রোহিঙ্গা ও ১০ জন বাংলাদেশীকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্য ও সংগৃহীত ডকুমেন্ট বিশ্লেষণ করে ২৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার, টাঙ্গাইল ও ঢাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে দুইজন আনসার সদস্যসহ রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি দালাল চক্রের আরো ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের হেফাজত থেকে ১৭টি পাসপোর্ট, ১৩টি এনআইডি, ৫টি কম্পিউটার, ৩টি প্রিন্টার, ২৪টি মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট তৈরির সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, এই চক্র মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শিশু, নারী ও পুরুষদের লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে এনআইডি, জন্মসনদ ও পাসপোর্ট বানিয়ে দিতো।

হারুন অর রশীদ আরো জানান, গ্রেফতারকৃত চক্রটির একটি দল কক্সবাজার, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি থেকে রোহিঙ্গাদের ঢাকায় নিয়ে আসে। আরেকটি দল তাদের জন্য জন্মসনদ, এনআইডি বানিয়ে দেয়। সবশেষে অন্য দলটি ঢাকাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আনসার সদস্যদের মাধ্যমে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়া, বায়োমেট্রিক্স করা ও ছবি তোলার ব্যবস্থা করে দেয়।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জানান, ছয় ঘণ্টার মধ্যে জন্ম সনদের জন্য ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা, তিন দিনের মধ্যে এনআইডি করার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়ার কথা গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত দালালদের মোবাইল ফোনে শত শত পাসপোর্ট করে দেয়ার ডকুমেন্ট ও ডেলিভারি স্লিপ পাওয়া গেছে। যার মধ্যে গত তিন মাসে রোহিঙ্গাদের জন্য করা ১৪৩টি পাসপোর্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০১৯ সাল থেকে চক্রটি রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশী দাগী অপরাধীদের ভিন্ন নাম এবং ঠিকানায় পাসপোর্ট করে দিচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃতরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, রংপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল জেলার ঠিকানা ব্যবহার করে জন্মসনদ ও এনআইডি বানিয়ে তার ভিত্তিতে পাসপোর্ট বানিয়ে থাকেন।

তিনি আরো জানান, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ডাটা, ডিজিটাল জন্মসনদ ডাটা, স্মার্ট এনআইডি ডাটা ব্যাংক আছে। পাসপোর্ট তৈরির জন্য তাৎক্ষণিকভাবে রোহিঙ্গা ডাটা, ডিজিটাল জন্মসনদ ডাটা এবং স্মার্ট এনআইডি ডাটা ভেরিফাই করলেই রোহিঙ্গাসহ অন্য দেশের নাগরিকদের সনাক্ত করা সম্ভব।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন