ঢাকা      মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

মিডিয়ার কারণেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ে: বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম

IMG
26 February 2024, 10:06 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গণমাধ্যমের কারণেও পেঁয়াজ-ছোলাসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে বলে মনে করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমেরও ভূমিকা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের যে নিউজগুলো হয়, সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলবো, অনেক সময় মিডিয়ার কারণেও কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বাড়ে। বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেগুলোতে, সকাল ৮টায় কোনো চ্যানেলে যদি বলে—খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের সঙ্কট, তাহলে সকাল ১০টায় কারওয়ান বাজারে ৩০ ভাগ দাম বেড়ে যায়। বিকেলে শ্যমবাজারে ৪০ শতাংশ বেড়ে যায়। একটা হাহাকার শুরু হয়ে যায়।’

সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)-এর সদস্যদের জন্য ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আইন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। কর্মশালায় আরও বক্তব্য দেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

বিচার বিভাগ ও বিচারকদের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘যতটুকু সত্য ঘটনা ততটুকু প্রকাশ করা উচিৎ। সাংবাদিকতার লক্ষ্যটা হলো, যা হয়েছে, ঘটেছে তা পাঠক ও শ্রোতাকে পৌঁছে দেওয়া। এখানে নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে ব্যাখ্যা করতে যাওয়া সমীচীন হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। সে বিচারক হই, যেই হই। আমাদের জবাবদিহিতা আছে জনগণ, আইন ও সংবিধানের কাছে। সুতরাং আমাদের অ্যাকাউন্টিবিলিটি থাকতে হবে। সে বিষয়ে আপনারা যদি নিউজ করতে চান, করতে পারেন। তবে আমি মনে করি, এক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বিচারক যাতে মানহানির পর্যায়ে না যায়, এই সংবাদ যাতে মিথ্যা না হয়, সে বিষয়টি আপনারা খেয়াল করবেন।’

সাম্প্রতিক সময়ে ‘কিশোর গ্যাং’-এর উৎপাত ও শিশু আইন নিয়ে বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘কিশোর গ্যাং আসলেই একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় অতিষ্ঠ। অনেকেই বলেন, এদের অনেকেই কিশোর না। হতে পারে সবাই কিশোর না। কিন্তু আমাদের যে শিশু আইন আছে, জাতিসংঘের সনদের ভিত্তিতে এই আইনটা হয়েছে। এখন শিশু আইনে শিশুদের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে দেওয়াটা আমরা বিচারকরা পারবো না। যেহেতু জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী হয়েছে, তাই বয়স কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে প্রবণতা আছে যে, কে কতটুকু কাজ করেছে তা তুলে ধরা। কিশোর গ্যাংয়ের লোকদের ধরতে সমস্যা নেই। কিন্তু তাদের নাম, ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা কিন্ত আইনে বারিত আছে।’

গুরুত্বপূর্ণ ও চাঞ্চল্যকর মামলায় সাংবাদিকদের ফলোআপ নিউজের পরামর্শ দিয়ে ইনায়েতুর রহিম বলেন, ‘কোনো মামলায় আসামিদের ধরা হলো। তাদের সম্পর্কে ব্রিফ করা হলো। কিন্তু এরপরে দেখা যায়, আমরা অনেক মামলা পেয়েছি, যেগুলোর কোনো ফলোআপ নেই। চার্জশিট হচ্ছে কি না, মামলাটা বিচারে যাচ্ছে কি না, বিচার হলে বিচার হলো কি না। এগুলোর কোনো ফলোআপ নিউজ থাকে না। আমাদের দেশে বিভিন্ন কারণে মামলা স্লো হয়ে যায়। তাই ফলোআপ নিউজ করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের একটু সজাগ থাকা উচিৎ।’ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শামীমা আক্তার। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন