ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ‘ভিসা-মুক্ত’ চুক্তি কার্যকর উপলক্ষ্যে চায়না মিডিয়া গ্রুপ-সিএমজিকে একান্ত সাক্ষাত্কার দিয়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। শনিবার সেদেশের রাজধানী ব্যাংককে দেয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, থাইল্যান্ড চীনকে বড় ভাই হিসেবে মনে করে। চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তাঁর মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।
বিস্ময় সৃষ্টিকারী চীন ও চীনা জনগণের প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন, আসলে অধিকাংশ থাই জনগণ চীনাদের বংশধর এবং তাদের পূর্বপুরুষ চীন থেকে এসেছেন। থাইল্যান্ড এবং চীনের জনগণ বরাবরই সম্প্রীতির সঙ্গে সহাবস্থান করেন।
দু’দেশের মধ্যে ‘ভিসা-মুক্ত’ চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর তা থাইল্যান্ডের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তিন বছরের মহামারির পর থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প অচলাবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে চীনা পর্যটকদের স্বাগত জানায় থাইল্যান্ড। চীনা পর্যটকদের ভ্রমণের ভালো অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে থাইল্যান্ড অনেক ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে বলে উল্লেখ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ।
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করে তোলার বিষয়ে থাই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, চীন গত কয়েক বছরে থাইল্যান্ডে বিশেষ করে বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে সবচেয়ে বেশি সরাসরি বিনিয়োগ করেছে। যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের মাধ্যমে যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে, তা আঞ্চলিক উন্নয়নকে ব্যাপকভাবে উন্নীত করেছে বলে তিনি মনে করেন।
সাক্ষাতকারে থাই প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, তিনি চীন থেকে দেশ শাসনের অভিজ্ঞতা শিখতে চান। দারিদ্র্য নির্মূল করা হলো চীনের অর্থনীতিতে সফলতা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ভবিষ্যতে আর্থ-বাণিজ্যে দু’দেশের সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়ে তিনহ বলেন, বর্তমান বিশ্ব দ্রুত গতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ডেটা-কেন্দ্র হলো এআই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এ ক্ষেত্রে অনেক চীনা কোম্পানি পুঁজি বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজে বের করছে। তিনি আশা করেন, থাইল্যান্ড সকল চীনা দ্রব্যের উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠবে। সাক্ষাতকারের শেষে থাই প্রধানমন্ত্রী সকল চীনা পর্যটক ও চীনা কোম্পানিকে তার দেশে স্বাগত জানান।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com