ঢাকা      শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

টি-২০ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড, ঐতিহাসিক ম্যাচে মুম্বাইকে হারালো হায়দরাবাদ

IMG
28 March 2024, 4:41 AM

স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দুর্ধর্ষ ব্যাটিং। রেকর্ডের ছড়াছড়ি। আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ ছক্কা। প্রথমবার এক ম্যাচে ৫২৩ রান। চারজন ব্যাটার ২৫ বলের কমে অর্ধশতরানে পৌঁছে যায়। তবে ছয়ের নজির শুধুমাত্র আইপিএলে নয়, টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড হলো বুধবার।

দুই দল মিলিয়ে ৩৮টি ছয় হয়। প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৭৭ রান তোলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। এর আগে এই রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে ২৬৩ রান করেন বিরাট কোহলিরা। ১১ বছর পর এদিন সেটা ছাপিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো হায়দরাবাদ।

নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানে থামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। ৩১ রানে জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ইডেনে কোলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৬ রানে হেরেছিল কামিন্স অ্যান্ড কোম্পানি।‌ এদিন সেই আফসোস মেটালেন ক্লাসেনরা। টসে জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠানোর জন্য হাত কামড়াতে হবে হার্দিক পান্ডিয়াকে। তবে বোলিং ডাহা ব্যর্থ হলেও লড়াই করেন মুম্বাইয়ের ব্যাটাররা।‌ প্রায় আড়াইশোর কাছাকাছি পৌঁছেও যায়। কিন্তু এতো বড় রান তাড়া করে জেতা অসম্ভব।

ত্রয়ীর ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ে সানরাইজার্স। শুরুটা করেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা। তৃতীয় উইকেটে ৬৮ রান যোগ করে এই জুটি। ১৮ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে হায়দরাবাদের হয়ে দ্রুততম পঞ্চাশ করেন হেড। কিন্তু মাত্র ২০ বলের মধ্যে সেই রেকর্ড ভেঙে দেন অভিষেক। ১৬ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান বাঁ হাতি। শেষ পর্যন্ত ২৪ বলে ৬২ এবং ২৩ বলে ৬৩ করে যথাক্রমে আউট হন হেড ও অভিষেক।

তারপর আবার ঝড় তোলেন হেনরিখ ক্লাসেন। আগের দিন ইডেনে আটটি ছক্কা হাঁকান। এদিন মারলেন সাতটি। ২৩ বলে অর্ধশতরান। ৩৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত। তাতে ছিল ৭টি ছয়, ৪টি চার। পর পর দুই ম্যাচে বিধ্বংসী ইনিংসে কমলা টুপি ক্লাসেনের দখলে। ২৮ বলে ৪২ রানে অপরাজিত মার্করাম। একমাত্র মায়াঙ্ক আগরওয়াল (১১) ছাড়া হায়দরাবাদের টপ অর্ডার রান পেয়েছে।

তবে এর জন্য অনেকটাই দায়ী হার্দিক পাণ্ডিয়ার জঘন্য অধিনায়কত্ব। বোলিং পরিবর্তনের মাথা মুণ্ডু নেই। পাওয়ার প্লেতে মাত্র এক ওভার বল করান যশপ্রীত বুমরাকে দিয়ে। তারপর আবার ১৩তম ওভারে নিয়ে আসেন, যখন ম্যাচ প্রায় হাতের বাইরে চলে গিয়েছে।

রান তাড়া করতে নেমে সানরাইজার্সকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় মুম্বাই। শুরুটা ভালো করেন রোহিত শর্মা, ঈশান কিষাণ। প্রথম উইকেটে ৫৬ রান যোগ করে এই জুটি। কিন্তু মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে জোড়া উইকেট হারায় মুম্বাই। ফিরে যান ঈশান (৩৪) এবং রোহিত (২৬)। কিন্তু তাতে দলের ছন্দপতন হয়নি।

মুম্বাইকে লড়াইয়ে রাখেন নমন ধির এবং তিলক বর্মা। দারুণ খেলেন দুই তরুণ। তৃতীয় উইকেটে ৮৪ রান যোগ করে এই জুটি। অনবদ্য ব্যাটিং তিলকের। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন। ইনিংসে ছিল ৬টি ছয়, ২টি চার। ২টি ছয় এবং চারের সাহায্যে ১৪ বলে ৩০ রান করেন নমন। এরা ব্যাট করার সময় মনে হয়েছিল হায়দরাবাদকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবে মুম্বাই। কিন্তু দু'জন ফিরতেই আশা কমে যায়।

পাঁচ নম্বরে নেমে শুরুতে ছয় মেরে আশা জাগলেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি হার্দিক। ২০ বলে ২৪ করে আউট হন মুম্বাইয়ের অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান টিম ডেভিড। কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না। ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানে শেষ করে মুম্বাই।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন