ঢাকা      বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

ভোটে দাঁড়ালেন লালু প্রসাদ যাদবের দুই মেয়ে

IMG
10 April 2024, 1:06 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ভারতে লোকসভা ভোটে বিহারের ২২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে আরজেডি। দলের প্রতিষ্ঠাতা লালু প্রসাদ যাদবের দুই কন্যার পাশাপাশি তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম মধ্য বিহারের বাহুবলী নেতা বিজয় কুমার (মুন্না) শুক্লের।

দুই বছর আগে অসুস্থ লালু প্রসাদ যাদবকে কিডনি দিয়ে প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে রোহিণী আচার্য। তাঁকে এবার সারণ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে। এবারই প্রথম নির্বাচনী ময়দানে পা রাখলেন রোহিণী। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে সারণ কেন্দ্রে জিতেছিলেন লালু। কিন্তু গত দু’বার ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির রাজীব প্রতাপ রুডি।

অন্যদিকে, লালুর আরেক মেয়ে মিশা ভারতীকে এবারও তাঁর পুরনো কেন্দ্র পাটলিপুত্রে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের ভোটে পাটলিপুত্র থেকেই ভোটে লড়েছিলেন মিশা। কিন্তু দু’বারই লালুর একদা আস্থাভাজন আরজেডি নেতা ও বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী রামকৃপাল যাদবের কাছে হেরে যান তিনি। অন্যদিকে, আইএএস অফিসার জি কৃষ্ণাইয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মুন্নাকে ‘হ্যারিকেন’ চিহ্নে বৈশালীতে প্রার্থী করেছেন লালু।

এছাড়া সীমাঞ্চলের ‘বাহুবলী’ নেতা অবধেশ মণ্ডলের স্ত্রী বিমা ভারতীকে প্রার্থী করা হয়েছে পূর্ণিয়া আসনে। জেডিইউ বিধায়ক বিমা গত মাসে আরজেডিতে যোগ দিয়েছিলেন। কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সাবেক সাংসদ পাপ্পু যাদব পূর্ণিয়ার দাবিদার হলেও লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের অনড় মনোভাবের কারণে ওই আসন চেয়েও পায়নি রাহুল গান্ধীর দল। বাধ্য হয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভা সাংসদ রঞ্জিতা রঞ্জনের স্বামী পাপ্পু নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়তে নেমেছেন।

বিহারের আরেক বাহুবলী নেতা অশোক মাহাত ১৭ বছর জেলবন্দি থাকার পর ২০২৩ সালে মুক্তি পান। অশোক এবার আরজেডির প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এরপর বিয়েও করেন সম্প্রতি। সম্প্রতি স্ত্রী অনিতা কুমারীকে প্রার্থী করানোর জন্য লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অনিতাকে মুঙ্গের থেকে প্রার্থী করেছে আরজেডি।

২২ জন প্রার্থীর মধ্যে আটজনই লালুর মতো যাদব জনগোষ্ঠীর। ওবিসি কুশওয়াহা তিন এবং ধানুক একজন। অতি অনগ্রসর (ইবিসি) এবং মুসলিম প্রার্থীর সংখ্যাও দুই। এছাড়া তিন তফসিলি জাতির তিন এবং এক বৈশ্য প্রার্থীও রয়েছেন আরজেডির তালিকায়।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ‘মহাগঠবন্ধনে’র রফাসূত্র অনুযায়ী এবার এই রাজ্যের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি ২৬, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিএম ১, সিপিআই ১ আসনে লড়বে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে আরজেডির সঙ্গে সমঝোতা করে ৯টি লোকসভা আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। জিতেছিল শুধু কিসানগঞ্জে।

লালুপ্রসাদ-তেজস্বীর আরজেডি ১৯টিতে লড়ে একটিতেও জিততে পারেনি। অন্য তিনটি আঞ্চলিক দলকে আরজেডি ১১টি আসন ছাড়লে তাদের ঝুলিও ছিল শূন্য। বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতেই জিতেছিল বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপির জোট।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন