ঢাকা      শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
শিরোনাম

শোলাকিয়ায় ঈদের ১৯৭তম জামাত অনুষ্ঠিত

IMG
11 April 2024, 2:44 PM

কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শোলাকিয়ায় ১৯৭তম ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন শহরের বড় বাজার মসজিদে ইমাম মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।

বরাবরের মতোই এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসল্লিরা এই জামাতে শরিক হন। প্রাচীন এই ঈদগাহে নামাজ আদায়ের জন্য দুই-তিনদিন আগে থেকেই মুসল্লিরা কিশোরগঞ্জ আসতে শুরু করেন। এ বছরও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহে চার লক্ষাধিক মুসল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। মুসল্লিদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সহস্রাধিক পুলিশ ছাড়াও বিজিবি, র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়নের সদস্য ও সাদা পোশাকে পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন শোলাকিয়া ঈদগাহকে ঘিরে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলেন। বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট অতিক্রম করে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে শারীরিক তল্লাশি ছাড়াও প্রতিটি মুসল্লিকেই আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে হয়েছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিল। মাঠে নির্মাণ করা হয়েছিল ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। এছাড়াও কয়েকটি ড্রোন ক্যামেরা সারা মাঠ জুড়ে সারাক্ষণ নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেছে।

সূর্যোদয়ের পর থেকেই মুসল্লিরা ঈদগাহে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঈদগাহমুখী বিভিন্ন সড়কে মুসল্লির ঢল নামে। সকাল নয়টার মধ্যে মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিরা পার্শ্ববতী প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে সড়কের ওপর, ব্রিজে, উন্মুক্ত স্থানে কিংবা বাড়িঘরের উঠোনে বসে নামাজ আদায় করেন। ময়মনসিংহ ও ভৈরব থেকে ‘শোলাকিয়া স্পেশাল’ নামে দু'টি বিশেষ ট্রেন সকালে নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিদের নিয়ে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে আসে এবং নামাজ শেষে স্ব স্ব গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের নামাজ শুরু হয় সকাল দশটায়। নামাজ শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তিন রাউন্ড, তিন মিনিট আগে দুই রাউন্ড এবং এক মিনিট আগে এক রাউন্ড বন্দুকের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে মুসল্লিদের নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য সংকেত দেওয়া হয়। নামাজ শুরুর আগে বক্তব্য দেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ।

এ বছর জামাতে খুতবা পাঠ ও ইমামতি করেন বড়বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ। নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন