ভোলা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী। আজ রোববার সকাল থেকে থেমে থেমে বইছে ঝড়ো বাতাস, সেই সঙ্গে রয়েছে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি।
ঝড়ের প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ৪০ কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। বাতাসের সাথে সাথে জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে ভোলার সদরের ধনিয়া, নাছির মাঝি, রাজাপুর, শিবপুর, চটকিমারার চর, চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচর, কুকরী-মুকরি ও চর পাতিলা, দৌলুতখানের সৈয়দপরসহ মনপুরার বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে ।
এরই মধ্যে ভোলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার পরিবার। জোয়ারের পানিতে ঢালচরসহ নিম্মাঞ্চলের ঘরবাড়ি ধ্বসে পড়ার খরর পাওয়া গেছে।
এদিকে ভোলার জেলা প্রশাসন ৮৬৯ আশ্রয় কেন্দ্র ও প্রায় ১৪ হাজার সেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রেখেছে। ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এদিকে ভোলা- লক্ষীপুর, ভোলা - বরিশাল ফেরিসহ জেলায় সবধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষনা করছে।
ভোলা বিআইডব্লিউটিএ'র সহকারী পরিচালক মোঃ সহিদুল ইসলাম জানান পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব জলযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
জেলা প্রশাসক মোঃ আরিফুজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় আমরা সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। ও-ই সকল উপকূলের মানুষকে নিরাপদে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com