ঢাকা      মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

কিডনি পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে দিল্লিতে গ্রেফতার বাংলাদেশিসহ সাত জন

IMG
10 July 2024, 5:51 PM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আন্তর্জাতিক কিডনি পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে একটা বড়সড়ো চক্রের হদিশ পেয়েছে দিল্লির পুলিশ। আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি নাগরিক, এক ভারতীয় চিকিৎসক, তার সহযোগীসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লির অপরাধ দমন শাখার পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশের বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃত চিকিৎসক বিজয়া রাজা কুমারী দিল্লির দুটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

দিল্লির অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি অমিত গোয়েল সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছেন, “অপরাধ দমন শাখা একটি আন্তর্জাতিক চক্রের সন্ধান পেয়েছে যারা বেআইনি ভাবে অঙ্গ পাচারের সঙ্গে জড়িত। এই চক্রের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশি একজন নাগরিক যার নাম রাসেল।"

“তদন্ত করে আমরা আমরা জানতে পেরেছি এই ঘটনায় রোগী এবং দাতা দুই-ই বাংলাদেশি নাগরিক। রাসেল নামক ওই অঙ্গ পাচার চক্রের মাধ্যমে রোগী এবং অঙ্গ দাতা দুজনকেই জোগাড় করত।”

সম্প্রতি রাজস্থানের দুর্নীতি দমন শাখার কর্তারা অভিযান চালিয়ে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন ব্যক্তির খোঁজ পায় সেই রাজ্যে।

আন্তর্জাতিক কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত ওই ব্যক্তিরা জাল নথি তৈরি করত, যার ভিত্তিতে ভারতের হাসপাতালে বাংলাদেশ থেকে আসা রোগীদের বেআইনি ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হতো।

সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়েই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্য ব্যক্তিদের হদিশ মিলেছে। গত দুই সপ্তাহে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের তিনজন নাগরিকসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

বার্তা সংস্থা এএনআইকে পুলিশ জানিয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হতো। রোগীর পরিবারের কাছ থেকে ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা চাওয়া হতো। ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয় ছিল এই চক্র।

দিল্লির অ্যান্টি ক্রাইম ব্রাঞ্চের ডিসিপি অমিত গয়েল বলেন, “রাসেলকে আমরা গ্রেফতার করেছি। একইসঙ্গে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে যে হাসপাতালে অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হতো, সেখানকার চিকিৎসকও রয়েছেন। তিনি এই চক্রের সঙ্গে কাজ করতেন। হাসপাতালের সন্দেহভাজন কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, এই ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একইরকমের কিডনি পাচার চক্র যার সঙ্গে বাংলাদেশের যোগ রয়েছে তার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল।

যেভাবে হদিশ পাওয়া গেল এই চক্রের
গত এপ্রিল মাসে রাজস্থানের দুর্নীতি দমন ব্যুরো অর্থের বিনিময়ে ভিনদেশী নাগরিকদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য ভুয়ো নো-অবজেকশন সার্টিফিকেট ইস্যু করার চক্রের অভিযানে নেমে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে জানা যায় এই চক্রের সঙ্গে দিল্লির যোগ ।

রাজস্থান পুলিশের তথ্যের উপর ভিত্তি করে সম্প্রতি অভিযান চালায় দিল্লির অপরাধ দমন শাখার পুলিশ। চক্রের প্রধান, রাসেলকে গ্রেফতার করার পর পুলিশই জেরায় সে তার এক সহযোগীর নাম ফাঁস করে।

মোহাম্মদ শারিক নামে তার ওই সহযোগী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা বলে পুলিশ জানিয়েছে। জেরা করে জানা গিয়েছে, তার কাজ ছিল ড. রাজা কুমারীর কাছ থেকে প্রতিস্থাপনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া । অস্ত্রপোচারের আগে যে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় তার ব্যবস্থা করা। অন্যদিকে, ড. রাজকুমারীর সহযোগী ব্যবস্থা করত দাতার ভুয়ো নথিপত্র তৈরি। দাতাদের দেখানো হতো রোগীর আত্মীয় হিসাবে।

মহম্মদ শারিক ও রাসেলের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পরে ওই চিকিৎসক এবং তার সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয় । (বিবিসি বাংলা)


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন