এসআই মিলন, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় চার যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনায় ছিনতাইকৃত ইজিবাইক, একটি মোবাইল ফোন এবং হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতাররা গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার খরিতা এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে খাদেমুল ইসলাম (২৭), পলাষট্টি এলাকার মৃত শুকুর আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম (১৯), একই এলাকার বিশ্বনাথ মালির ছেলে চন্দন মালি (৩০) ও রঘুনাথপুর এলাকার মো. মোখলেছের ছেলে মীর হোসেন (২৪)।
আজ রোববার দুপুরে গোবিন্দগঞ্জে থানায় এক প্রেস ব্রিফিংএ এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইবনে মিজান। এর অগে শনিবার অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংএ বলা হয়, প্রতিদিনের ন্যায় গত বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক চালক রায়হান কবীর মিলন তার ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে নিখোঁজ হন। পরদিন ১২ সেপ্টেম্বর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চাংগুরা গ্রাম এলাকার সাঁওতাল পল্লীর একটি বাঁশঝাড় থেকে পুলিশ ইজিবাইক চালক রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে তার মা রায়হানের লাশ সনাক্ত করেন।
প্রেস ব্রিফিংএ আরও বলা হয়, নিহত রায়হান কবীর মিলনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে খাদেমুল ও চন্দনকে আটক করা হয়। এসময় খাদেমুলের কাছ থেকে নিহত রায়হানের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আসামী খাদেমুল ও চন্দনের দেয়া তথ্য মতে অপর আসামী নাজমুলকে তার বাড়ী থেকে আটক ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। এরপর ঘটনার সাথে জড়িত মীর হোসনকে তার বাড়ী থেকে আটক করা হয়।
ব্রিফিংএ বলা হয়, আসামীরা বেশ কিছুদিন থেকে রায়হানের ইজিবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে আসছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী ওইদিন সন্ধ্যা পর আসামীর যাত্রীবেশে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার থেকে ২৫০ টাকা ভাড়ায় রায়হানের ইজিবাইকে বাগদা বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা করে। এরপর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কামদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন চাংগুরার সাঁওতাল পল্লীর বাঁশঝাড় এলাকায় পৌঁছালে আসামীরা চালক রায়হানকে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে তার মুখ গামছা বেঁধে ধারাল ছুরি দিয়ে গলার নিচে, বাম পাজরে, ডান কাধে ও পেটে উপর্যপরি আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং তার লাশ বাঁশঝাড়ের নিচে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতার আসামীদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংএ উপস্থিত ছিলেন, সহকারি পুলিশ সুপার (সি-সার্কেল) উদয় কুমার সাহা, গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তারেকুল ইসলাম টুটুল, বৈরাগীরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মতিউর রহমানসহ অনেকে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com