ঢাকা      বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪, ২ শ্রাবণ ১৪৩১
শিরোনাম

আজ চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

IMG
08 July 2024, 8:33 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: চার দিনের সফরে আজ সোমবার চীন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে দুই দেশের মধ্যে ২০টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে।

গতকাল রোববার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই তথ্য জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী ৮ থেকে ১১ জুলাই বেইজিং সফর করবেন। তিনি আজ সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের উদ্দেশে রওনা দেবেন। একই দিন চীনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এ ছাড়া সরকারপ্রধান বেইজিং সফরের সময় বঙ্গবন্ধুর ‘আমার দেখা নয়াচীন’ চীনা ভাষায় অনূদিত বইটির মোড়ক উন্মোচন করবেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী ৯ জুলাই সকালে প্রধানমন্ত্রী এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিন লিকুনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী সাং-গ্রি-লা সার্কেলে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলনে অংশ নেবেন। এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী ঐতিহ্যবাহী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে শ্রদ্ধা জানাবেন। ১০ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

পরে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। এরপর দুই দেশের সরকারপ্রধানের উপস্থিতিতে প্রায় ২০টির মতো সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে এবং কিছু প্রকল্প উদ্বোধনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

হাছান মাহমুদ জানান, অর্থনৈতিক ও ব্যাংকিং খাত, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, ডিজিটাল ইকোনমি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি খাতে সহায়তা, ষষ্ঠ ও নবম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ নির্মাণ, বাংলাদেশ থেকে কৃষিপণ্য রপ্তানি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, পিপল টু পিপল কানেকটিভিটি প্রভৃতি বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সইয়ের সম্ভাবনা আছে।

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, তিস্তা বিষয়ে চীন যদি আগ্রহ দেখায় তাহলে আলোচনা হবে। তিস্তা ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের যৌথ নদী। তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারত আমাদের প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা এখন তা পর্যালোচনা করছি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। দেশটির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। এই সফর আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চীন থেকে বাজেট সহায়তা নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এই সফরে চীনের সঙ্গে ইকোনমিক কোঅপারেশন নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি হবে। এর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আলোচনা হবে। এ-সংক্রান্ত অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজনের নিরিখে এবং আমাদের প্যারামিটারগুলো পর্যালোচনা করে আমরা সহযোগিতা নেই। পদ্মা সেতু থেকে বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর পুনরায় সাহায্য করতে চেয়েছিল; কিন্তু আমরা তা গ্রহণ করিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা এবং বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে বাংলাদেশ চীনের সহায়তা কামনা করবে। একই সঙ্গে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে চীনের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ চীনের প্রতি সমর্থন দিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে যাবেন অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিবসহ অন্যান্য সচিব ও সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা।


বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন