এসআই মিলন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস বা হুল পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করা হয়।
শুরুতে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। আজ রোববার দুপুর ১২টায় গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাহেবগঞ্জ বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ, এএলআরডি ও জনউদ্যোগ গাইবান্ধার ব্যানারে এসব কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও এখনও সাঁওতালরা জাতিগত সহিংসতা-নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। ২০১৬ সালে গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে হামলা-অগ্নিসংযোগ-লুটতরাজ ও তিন সাঁওতাল হত্যাকান্ডের বিচার আজও হয়নি। বাংলাদেশে সমতল ভূমির বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সাঁওতালরাই সবচেয়ে বেশি ভূমি সমস্যার শিকার বলে বলছেন গবেষকরা। যারা গত তিন প্রজন্মে তিন লক্ষ বিঘার বেশি জমি হারিয়েছে। অবিলম্বে সাঁওতালদের বাপদাদার তিন ফসলি জমি ফেরত দেয়ার দাবি জানান।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- রাজনৈতিক ও ক্রীড়াবিদ ওয়াজিউর রহমান রাফেল, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের জেলা আহবায়ক এ্যাড. সিরাজুল ইসলাম বাবু, আদিবাসী নেতা বার্নাবাস টুডু, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের সদস্য সচিব প্রবীর চক্রবর্তী, ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির নেত্রী প্রিসিলা মুর্মু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলি রানী দেবী প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮৫৫ সালে ভারতে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়। সেই বিদ্রোহে নিহত হন সাঁওতাল নেতা সিধু-কানুসহ ১০ হাজারেরও বেশি সাঁওতাল। সেই থেকে সাঁওতালরা প্রতিবছর ৩০ জুন সাঁওতাল ‘হুল’ বা বিদ্রোহ দিবস পালন করে আসছে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com