ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী তালিকার শীর্ষ নামগুলো সোমবার হঠাৎ এক সাথে বেরিয়ে আসে, যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প দলের ন্যাশনাল কনভেনশনে উপস্থিত ডেলিগেটদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট তুলে নেন এবং তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট সঙ্গী হিসেবে ওহাইও রাজ্যের সিনেটর জে ডি ভ্যান্স-এর নাম ঘোষণা করেন।
মনোনয়ন পাওয়ার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টানা তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের নেতৃত্ব দেবেন। তিনি ২০১৬ সালে জয়লাভ করেন। কিন্তু ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে পরাজিত হন। আগামী নভেম্বরে ট্রাম্প আবার বাইডেনের মুখোমুখি হবেন।
ট্রাম্প কয়েক মাস ধরে সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সোমবার মিলওয়াকিতে রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে ডেলিগেটদের ভোটই তাঁর মনোনয়নকে আনুষ্ঠানিক রূপ দেয়। তাঁর নিজস্ব রাজ্য ফ্লোরিডার ভোট দিয়ে ট্রাম্প মনোনয়নের জন্য প্রয়োজনীয় ভোট সংখ্যা পেয়ে যান। ফ্লোরিডার ভোট ঘোষণা করেন তাঁর পুত্র এরিক।
কনভেনশন হলের ভেতরে রাজ্যের পর রাজ্য ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের পক্ষে ভোট দিলে ডেলিগেটরা চিৎকার করে উল্লাস করেন। তাদের চারপাশে ব্যানারে ছিল ট্রাম্প প্রচারণার স্লোগান “মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন” বা আমেরিকাকে আবার মহান করো।
ট্রাম্পের প্রচারণা টিমের নেতারা এ ’সপ্তাহে আরএনসি-এর উদ্বোধন এমনভাবে সাজিয়েছেন, যাতে ইতিবাচক এবং নরম বার্তা দেয়া হয়। তারা জোর দিয়েছেন এমন থিমের উপর যা একজন বিভেদ সৃষ্টিকারী নেতাকে মধ্যপন্থি এবং কৃষ্ণাঙ্গ ভোটারদের কাছে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। এরপর আসলো গুলির ঘটনা, যা আমেরিকান রাজনীতির ভিত নড়িয়ে দিয়েছে।
হঠাৎ, সাম্প্রতিক টেলিভিশন বিতর্কে বাইডেনের দুর্বল পারফরম্যান্সের ফলে ডেমোক্র্যাটদের অসন্তোষ ও রিপাবলিকানদের সম্ভাব্য প্রশাসনিক পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা, এমনকি ফৌজদারি মামলায় ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনা আর মুখ্য থাকল না। তার জায়গায় রাজনৈতিক সহিংসতা আর দেশের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ হল মুখ্য।
মিলওয়াকিতে চারদিনের সম্মেলনে রিপাবলিকান প্রার্থী আর তাঁর মিত্ররা নিঃসন্দেহে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতির সামনে দাঁড়াবে, লড়াই করতে প্রস্তুত। ঠিক যেভাবে শনিবার পেনসিলভানিয়ার সমাবেশে রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রাম্প তাঁর সমর্থকদের ‘ফাইট’ করার আহ্বান জানান। ক্ষোভ আর উৎকণ্ঠা দলের ভেতর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে, এমনকি যখন অনেক শীর্ষ রিপাবলিকান উত্তেজনা কমানোর ডাক দিচ্ছেন।
রিপাবলিকান পার্টির চেয়ারম্যান মাইকেল হোয়েটলি রবিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, শনিবারের গুলির ঘটনার ফলে সম্মেলনের অনুষ্ঠানসূচি বদলানো হবে না। তিনি বলেন, ১০০’র বেশি বক্তা ভাষণ দেবেন, যাদের মূল লক্ষ্য থাকবে দৈনন্দিন চাহিদার কথা এবং সাধারণ কর্মজীবী আমেরিকানদের জীবনমান উন্নত করতে ট্রাম্পের পরিকল্পনা। “আমরা দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে চাই, সেই পরিকল্পনাই আমাদের তুলে ধরতে হবে,” তিনি বলেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com
