ঢাকা      শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১
শিরোনাম

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের কমিশন গঠন

IMG
28 August 2024, 6:54 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ৫ সদস্যের একটি কমিশন গঠন করেছে সরকার। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬ অনুযায়ী এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।

এই কমিশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। কমিশনে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস ও মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।

আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থা তথা বাংলাদেশ পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্ট গার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগ ও বলবৎকারী কোনো সংস্থার কোনো সদস্যের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের জন্য এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে।

কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট, ১৯৫৬-অনুযায়ী তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে আগামী ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সরকারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
কমিশনের কার্যপরিধি সম্পর্কে বলা হয়েছে- এই কমিশন বিগত ২০১০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান, তাদের শনাক্ত এবং কোন পরিস্থিতিতে গুম হয়েছিল তা নির্ধারণ করবে।

জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনাসমূহের বিবরণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিল এবং এ বিষয়ে সুপারিশ প্রদান করবে এই কমিশন।

জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া গেলে কমিশন তাদের আত্মীয়-স্বজনকে অবহিত করবে।
একই সঙ্গে কমিশন জোরপূর্বক গুম হওয়ার ঘটনা সম্পর্কে অন্য কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত তদন্তের তথ্য সংগ্রহ করবে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা দেবে এবং কমিশনের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করবে এবং কমিশনকে সহায়তার উদ্দেশ্যে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত যে কোনো ব্যক্তিকে দায়িত্ব দিতে পারবে। কমিশনের সভাপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারক এবং কমিশনের সদস্য হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের মর্যাদা এবং অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন