শাকিল মোল্লা, কুমিল্লা: কুমিল্লায় গোমতী নদীর পানি ক্রমেই কমছে। সেই সঙ্গে বন্যাকবলিত বুড়িচং থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান জানান, গোমতী নদীর পানি এখন বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গোমতী নদীর পানির উচ্চতা কমে বিপদসীমার নিচে আসলেও কুমিল্লার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গোমতীর ভাঙ্গনে এখনো বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া ও দেবিদ্বার এলাকার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসব উপজেলায় প্রবাহিত হচ্ছে সালদা নদীর পানিও।
অপরদিকে, জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি বেড়েই চলেছে। এতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে উপজেলার অন্তত ৮টি ইউনিয়নের বন্যা। কুমিল্লায় বন্যাকবলিত এলাকায় খাবারের পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ পৌঁছানোও জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যার ভয়াবহতায় দুর্গতরা শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। সামর্থ থাকা সত্ত্বেও খাবারের অভাব এবং আপনজনদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা মানুষকে বিমর্ষ করে দিচ্ছে।
এদিকে, দুর্গত এলাকায় নতুন বিপদ পানিবাহিত রোগবালাই। বিশুদ্ধ পানির অভাব এবং নিরাপদ স্যানিটেশনের অভাবে পানিবন্দি মানুষ এখন চর্ম রোগ, ডায়রিয়া, জর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবারের পাশাপাশি ঔষধ ও বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ ভাবিয়ে তুলছে ক্ষতিগ্রস্তদের।
জেলা প্রশাসনের হিসেব মতে, জেলায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দী আছে। ৭২৪ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ২২৪টি মেডিকেল টিম চিকিৎসা দিচ্ছে। এ পর্যন্ত কুমিল্লায় বন্যার পানিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪ জন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com