ঢাকা      রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
শিরোনাম

বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো: মেজর হাফিজ

IMG
03 September 2024, 2:15 PM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড রহস্যজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ করেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে ২০০৯ সালে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে এটি।বিডিআর হত্যাকাণ্ড ছিল অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশে এই হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।

মেজর হাফিজ বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে। কমিশন গঠন করতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নতুন করে তদন্ত করার উদ্যোগ নেওয়ায় তাঁকে ধন্যবাদ।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মেজর হাফিজ বলেন, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর নৈতিক বল ভেঙ্গে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে এই হত্যাকাণ্ড। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বসহ অনেকেই জড়িত। বিডিআর প্রধান শাকিল সেনাপ্রধানের কাছে সাহায্য চাইলেও পাঠায়নি সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের কথা শুনলে বিদ্রোহ দমন করা সেনাকর্মকর্তার দায়িত্ব। সেনাবাহিনী হত্যাকাণ্ডের পরপরই সাঁজোয়া যানসহ মিলিটারি অ্যাকশনে যাওয়ার কথা থাকলে সেনাপ্রধান ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার করতে দেয়নি। সরকারপ্রধানের ভূমিকাও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ।

সুবেদারকে বাহিনী প্রধান করার নজির পৃথিবীর ইতিহাসে নেই উল্লেখ করে মেজর হাফিজ বলেন, সরকারপ্রধান ও সরকারি দলের যোগসাজসেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের পর কয়েকটি কমিশন করলেও সেগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি। সেনাবাহিনীর ইনকোয়ারির রিপোর্টটিও অন্ধকারে রয়ে গেছে।

মেজর হাফিজ বলেন, আওয়ামী লীগের সরকার বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু পরিণতির কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জেনারেল মঈনের কারো কাছ থেকে কোনো নির্দেশের প্রয়োজন ছিল না, তারপরও ব্যবস্থা নেয়নি। সেনাবাহিনীর মনোবল ধ্বংস করতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।

শেখ হাসিনা অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করলে সেখানে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা ৫০-৬০ জন অফিসারকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয় বলে মন্তব্য করেন মেজর হাফিজ। সেনাবাহিনীতে পুনর্বহালের আহ্বান জানান তিনি। পুনঃতদন্ত সঠিকভাবে করতে বিএনপি সহযোগিতা করবে বলেও জানান।

হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, প্রতিবেশী দেশের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগ। সেনাবাহিনীকে দলীয়করণ এমনভাবে করেছে যে জেনারেলরা কথা বললে যেন ছাত্রলীগের নেতারা বক্তব্য দিচ্ছে। সেনাবাহিনীকে ধ্বংস করার প্রাথমিক পদক্ষেপ বিডিআর হত্যাকাণ্ড। দেশের সার্বভৌমত্ব ধ্বংসে যেসব দল, দেশ ভূমিকা নিয়েছে তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।



বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন