ঢাকা      শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
শিরোনাম

চারজন ছাত্র কি ছিল না রুখে দাঁড়ানোর, প্রশ্ন ফারুকীর

IMG
19 September 2024, 2:09 PM

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দল-মত নির্বিশেষে অন্যায় কিংবা দলান্ধতার বিরুদ্ধে আজও নিজের কণ্ঠটা জারি রেখেছেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে ‘মব জাস্টিস’ বা গণপিটুনির ঘটনা।

গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের সামনে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে মারধর করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক এই দুটি ঘটনাকে সামনে রেখে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নির্মাতা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে ফারুকী লিখেছেন, ‘তুমি যদি স্বাধীনতার মর্ম না বোঝো, তাহলে তুমি স্বাধীনতার স্বাদ হারাবে। আব্বার কাছে শুনতাম, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই জোশ চলে আসছিল যে সে-ই সব। সে নিজেই অভিযোগকারী, নিজেই বিচারক, নিজেই এক্সিকিউশনার। হাতে অস্ত্র আছে, অথবা আছে মবের শক্তি। সুতরাং মারো, মেরে ফেল। ফল কী হয়েছিল আমরা জানি।’

স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের এমন কিছু ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আচ্ছা, স্বাধীনতার পর না হয় একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা ছিল, এমন কি যখন আওয়ামী লীগের কঠিন আঁটুনির ভেতর আটকা ছিল দেশ, তখনও কি আমরা বাড্ডার এক মাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারিনাই? রংপুরে নামাজের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষকে মেরে পুড়িয়ে দেই নাই?’

কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেও কেন ঘটছে এমন ঘটনা? এমন প্রশ্ন তুলে নির্মাতা বলেন, ‘আমি আশা করছিলাম, এই নতুন স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাথে সাথে নতুন দায়িত্বের ব্যাপারটা আমরা উপলব্ধি করবো। আমাদের দিলে রহম জিনিসটা আসবে। একশ’ জন মববাজি করতে আসলে দুইজন হলেও রুখে দাঁড়াবে! ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে কি এ রকম চারজন ছাত্র ছিল না রুখে দাঁড়ানোর? এটা লজ্জার, বেদনার।’

সবাইকে দায়িত্ববান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী শেষে বলেন, ‘সবাই দায়িত্ব নিই চলেন। মববাজি বন্ধ করেন। ফ্যাসিবাদিদের ফাও আলোচনার বিষয় উপহার দেয়া থেকে বিরত থাকেন। প্লিজ। আলোচনাটা থাকতে দেন রিফর্মে, ফ্যাসিবাদের বিচারে।’

বলা দরকার, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ফটক এলাকায় শামীম মোল্লাকে মারধর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রক্টরিয়াল বডি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আশুলিয়া থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এরপর রাত ৯টার দিকে চিকিৎসার জন্য সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

একই দিন সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেন নামে এক যুবককে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। পরে সে গণপিটুনির শিকার হয়। এরপর রাত ১২টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/এমএন

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

এ বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন