ঢাকা      শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১
শিরোনাম

আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে রিটের শুনানি হতে পারে আজ

IMG
29 October 2024, 9:53 AM

ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আওয়ামী লীগের আমলে বিগত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা এবং দলটিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক যে রিট করেছেন, তার শুনানি হতে পারে আজ মঙ্গলবার।

গতকাল সোমবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ হাইকোর্টে দুটি রিট করেন। একটি হলো- আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচন) অবৈধ ঘোষণা এবং দ্বিতীয়টিতে আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের প্রতি নির্দেশনা দেওয়ার আরজি জানানো হয় রিটে।

সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের গতকালের কার্যতালিকায় রিট দুটি ২৮৩ ও ২৮৪ নম্বর ক্রমিকে ছিল।

বিকেলে ফলাফলের ঘরে দেখা যায়, রিট দুটির বিষয়ে ‘আউট’ লেখা রয়েছে। গতকাল বিকেলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলেছেন, রিট দুটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

তবে রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা যায়, বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আজ মঙ্গলবারের কার্যতালিকায় রিট দুটি ২০৮ ও ২০৯ নম্বর ক্রমিকে রয়েছে। ফলে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের এই বেঞ্চে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য যে ১০টি দলকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য রিট করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী দল, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, মার্ক্সিস্ট-লেনিনিস্ট (বড়ুয়া) ও সোশ্যালিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ।

রিটের প্রার্থনায় দেখা গেছে, নির্বিচার মানুষ হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা, বেআইনি প্রক্রিয়ায় অসাংবিধানিকভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

রুলে বিচারাধীন অবস্থায় আওয়ামী লীগসহ ১১টি দলকে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে গতকাল সন্ধ্যায় বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত হয়নি।

প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সরকার শুধু ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। আর কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার এ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেয়নি।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ‘সন্ত্রাসী সত্তা’ হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে গত ২৩ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল এবং ক্ষমতাচ্যুত দলটির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে গত অগাস্ট মাসে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। সারডা সোসাইটি নামের একটি মানবাধিকার সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক আরিফুর ওই আবেদন করেছিলেন।

গত ১ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ সেটি খারিজ করে দেয়।

বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন