ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: আমেরিকান ভোটাররা ব্যাপকভাবে কমলা হ্যারিসকে প্রত্যাখ্যান করায় তিনি বুধবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তাঁর পরাজয় স্বীকার করেছেন এবং দেশকে নিয়ে তাঁদের যে স্বপ্ন রয়েছে, তার জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে তাঁর সমর্থকদের উৎসাহিত করেন। ডেমোক্র্যাটিক ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই লড়াই চলতে থাকবে। নির্বাচনী বুথে, আদালতে এবং জনগণের চত্বরে।’
তিনি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা নিয়েছেন এবং যেখানে তিনি আশা করেছিলেন, তাঁর বিজয়ের ভাষণ দেবেন সেই হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন , “কখনও কখনও লড়াইয়ে সময় লাগে। তার অর্থ এ নয় যে, আমরা জয়লাভ করবো না”। কমলা হ্যারিসের এই পরিস্কার পরাজয় এমন আশাকে ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পুনর্নিবাচনের প্রচেষ্টা থেমে যাওয়ার পর তিনি যখন নিজেকে এই শীর্ষ পদের প্রার্থী করেন-ি তখন মনে করা হয়েছিল যে তিনি ডেমোক্র্যাটদের রক্ষা করবেন।
তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রতিটি রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের তুলনায় পিছিয়ে ছিলেন। তিনি ট্রাম্পকে দেশের মৌলিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য বিরাজমান বিপদ বলে বর্ণনা করেন। তবে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের পদের জন্য তাঁর তিনটি নির্বাচনী প্রচার অভিযানে এই প্রথম জনগণের প্রদত্ত প্রত্যক্ষ ভোটেও এগিয়ে ছিলেন – তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি অভিশংসন , গুরুতর অপরাধ এবং এর আগের নির্বাচনে তাঁর পরাজয়ের ফল পাল্টানোর প্রচেষ্টার জন্য তিনি অভিযুক্ত।
ট্রাম্প সম্পর্কে তাঁর কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও বুধবারের বক্তব্যে তিনি ছিলেন আশাবাদী। তিনি তাঁর সমর্থকদের বলেন, “ দুঃখ পাওয়া এবং হতাশ হওয়াতো হতেই পারে। কিন্তু অনুগ্রহ করে জানবেন সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে”। এই সময় তাঁর সমর্থকদের কেউ কেউ অশ্রু মুছছিলেন। কমলা হ্যারিসের সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী টিম ওয়ালজ তাঁর পরিবারসহ দর্শকদের মাঝে ছিলেন। এছাড়া হাউসের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং বারবারা লী , যারা উভয়ই কমলা হ্যারিসের নিজের রাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা।
তাঁর ভাষণের আগে ট্রাম্পের বিজয়ের জন্য তিনি ট্রাম্পকে ফোন করে অভিনন্দন জানান। তিনি সমবেত দর্শকদের বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবো”। ভোটাররা আমেরিকান গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগকে নাকচ করে দিয়ে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে হোয়াইট হাউসে ফেরত পাঠাচ্ছেন।
বাইডেন নির্বাচনের ফলাফল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করবেন বলে কথা আছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বুধবার তিনি কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেছেন। বাইডেন ট্রাম্পের সঙ্গে ২৭ জুনের বিতর্কে বার বার থমকে যাওয়ার পর তিনি ভোটারদের এ কথা আর বোঝাতে পারেননি যে, ৮৬ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্টের কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। আর তখনই কমলা হ্যারিস ডেমোক্র্যাটিক দলের প্রার্থী হন।
গত ২১ জুলাই বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থী করেন। কমলা হ্যারিস তখন তার প্রার্থিতাকে কেন্দ্র করে ডেমোক্র্যাটিক পার্টিকে একত্রিত করেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com