এসআই মিলন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও গোবিন্দগঞ্জের সাবেক পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফি, গোবিন্দগঞ্জ ওলামা লীগের সভাপতি হোসাইন আহম্মেদ ও মোস্তফা কামাল সুমনসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ গ্লোবালকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে জামায়াত নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নবী প্রধানের ছেলে তানভীর প্রধান এ মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল তানভীর মোটর সাইকেল যোগে বাসায় যাওয়ার পথে গোবিন্দগঞ্জ চৌকি আদালতের প্রধান ফটকের সামনে মিন্টু শেখ, মোস্তফা কামাল সুমন ও জহুরুল ইসলাম সবুজসহ ২০ থেকে ২৫ জন পৌর মেয়র মুকিতুর রহমান রাফির নির্দেশে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তানভীরের উপর আক্রমণ চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তানভীরকে ছুরিকাঘাতসহ বেদম মারপিট করেন। তানভীরকে রক্ষার জন্য রুহুল আমিন নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তাকেও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে তার পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। সন্ত্রাসীরা তানভীরের মোটর সাইকেলটিও ছিনিয়ে নিয়ে যায় এ সময়। গুরুতর আহত তানভীরকে প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত রুহুল আমিনকে বগুড়ার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
মামলার বাদী তানভীর জানান, তার বাবা রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ায় তৎকালীন সরকারের দোসররা তার উপর আক্রমণ চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। ওই সময় থানায় মামলা দায়েরের চেষ্টা করা হলেও রাজনৈতিক প্রভাবে থানা মামলা গ্রহণ করেনি। বর্তমানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে আসায় তিনি গত ১১ নভেম্বর ১১ জন নামীয় আসামীসহ ৭ থেকে ৮ জন অজ্ঞাতনামা আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com
