ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে মোট ৫২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, মাথাপিছু ভর্তুকির পরিমান ৩ হাজার টাকা। বিদ্যুৎ খাতে বছরে ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) ডিসিসিআই অডিটরিয়ামে জ্বালানির দাম ও সরবরাহ নিশ্চয়তা শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ গড়ে বিক্রি করছি ৮.৯৫ টাকা দরে, আর কিনছি ১২ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত। কেন বেশি দামে কেনা হলো, কারা চুক্তি করেছেন, কেন করেছেন! বাংলাদেশে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করেছেন, তারা কি মনে করেন নি, এত বেশিদাম কেন নিচ্ছি, তারা কি জাতিকে ক্ষতিপূরণ দিবেন।
তিনি বলেন, বিদ্যুতে ৩২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব না, পুরনো ধারনা আইপিপি বিদ্যুৎ কেন্দ্র আর করা হবে না। আমরা মার্চেন্ট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছি, আপনারা নিজেরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করবেন, নিজেরা গ্রাহক ও দাম ঠিক করবেন, বিইআরসিকে শুধু অবহিত করতে হবে। দশ-বিশ শতাংশ সরকার কেনার অপশন থাকবে, যাতে আর্থিক ঝুঁকি না থাকে।
প্রতিযোগিতা নির্বাসিত হয়েছে, ওমুকের সঙ্গে পরিচয় ছিল আপনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পেয়ে গেলেন। এখন আর সেই সুযোগ নেই, উন্মুক্ত ছাড়া কোন কেনাকাটা হবে না। ইতোমধ্যেই এর সুফল পেতে শুরু করেছি। আগে বিপিসির আমদানি করতো মাত্র চার-পাঁচটি কোম্পানি অংশ নিতো, আগে শর্ত ছিল রিফাইনারি থাকতে হবে, শর্ত শিথিল করে বলা হয়েছে বড় সরবরাহকারি হলেই হবে। চার-পাঁচ জনের জায়গায় ১২ জন পাচ্ছি এতে ৩২ শতাংশ সাশ্রয় হয়েছে। এলএনজি উন্মুক্ত করে দিয়েছি। জানালা-দরজা বন্ধ করে দমবন্ধ অবস্থায় ফেলা হয়েছিল, আমরা সব খুলে দিয়েছি, আপনি ভালো ব্যবসায়ী হলে ব্যবসা করতে পারবেন। এখানে কোন পরিচয়ের দরকার হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট, সরবরাহ দিচ্ছি ৩ হাজারের কম। এখানে ১ হাজারের মতো ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। ভোলাতে উদ্বৃত্ত গ্যাস রয়েছে একটি মাত্র কোম্পানিকে দেওয়া হলো সিএনজি করে আনতে। আমরা এটি উন্মুক্ত করে দেবো, সেখান থেকে সিএনজি কিংবা এলএনজি করে আনতে পারেন। সৌরি বিদ্যুতের ৪০ টি প্রজেক্টের পর্যায়ক্রমে দরপত্র হবে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রচুর পরিমাণে পতিত জমি রয়েছে। আমরা জমি দেবো, লাইন করে দেবো, আপনারা এসে শুধু প্রকল্প করবেন।
তেল-গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করা প্রসঙ্গে বলেন, ৪৮ কূপ খনন প্রকল্প চলমান রয়েছে। আগামী ২ বছরে আরও ১০০ টি করা হবে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, বাংলাদেশ সোলার এন্ড রিনিউয়েবল এনার্জি এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী নুরুল আক্তার, কনফিডেন্স গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান করিম।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com