ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদে ঢাকা থেকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা মুখী লংমার্চকে কেন্দ্র করে আখাউড়ায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। অপরদিকে সীমান্ত এলাকায় লংমার্চের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ, বিজিবিসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
গত ২ ডিসেম্বর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনে হামলা এবং বাংলাদেশের পতাকা অবমাননা প্রতিবাদে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকা থেকে লং-মার্চ কর্মসূচি শুরু করেছেন বিএনপি'র অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লং-মার্চটি রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে আখাউড়া উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন ।
এদিকে লং-মার্চ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন জেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। আখাউড়া স্থল বন্দর এলাকার ভারত সীমান্তের ২০০ গজের মধ্যে মঞ্চটি স্থাপন করা হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় টানানো হয়েছে অন্তত ৩০টি মাইক।
আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় উপস্থিত জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য কবীর আহমেদ ভূইয়া ও সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারন সম্পাদক মাসুম ভূইয়া বলেন, ঢাকা থেকে আসা লং-মার্চটি দুপুর আড়াটা থেকে তিনটার মধ্যে আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকায় এসে পৌঁছার কথা রয়েছে। আখাউড়া সভা থেকে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সরকারি হাইকমিশন অফিসে হামলা ও পতাকা অবমাননা সহ ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হবে। ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ কোন কোনো বৈরিতা পূর্ণ আচরণ আমরা চাই না।
গত ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থান করছেন সেখান থেকে তিনি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত। আমরা ভারতকে তার অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সিএন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নিছার উদ্দিন ভূইয়া জানান, স্থলবন্দর এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করা হলেও প্রতিদিনকার মতো আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান জানান, সমাবেশের কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়ছে না।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডার লে. কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার। তিনি জানান, সীমান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গাজলা পারভীন রুহি জানান, কেউ যেন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা না করতে পারে সেজন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে আখাউড়া সীমান্তের দুদেশের শূন্য রেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকেও তিন স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/জেএস
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com