ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার নেতৃত্ব নিয়ে ক্রমবর্ধমান অসন্তোষের মুখে এবং তার অর্থমন্ত্রীর আকস্মিক বিদায়ের পরে তার সরকারের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার ইঙ্গিতের কারণে সোমবার পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রুডো বলেন, ‘ অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের’ অর্থ হলো, আগামী নির্বাচনে তিনি ‘ সেরা বিকল্প হতে পারবেন না’। লিবারেল পার্টের নতুন নেতা নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকার পরিকল্পনা করেছেন।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সংসদ অধিবেশন আগামী ২৭ জানুয়ারি পুনরায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন সেটা ২৪ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এই সময়ে লিবারেল পার্টি তাদের নতুন নেতা নির্বাচন করতে পারবে। ওই কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার স্বার্থে বলেন, কারণ এ বিষয়ে জনসমক্ষে মন্তব্য করার অনুমতি তার ছিল না।
দেশটির প্রধান তিনটি বিরোধী দল বলেছে, সংসদ অধিবেশন বসার পর তারা অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে লিবারেল পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে। তার মানে, এই বসন্তে নতুন সংসদ নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল। কনজারভেটিভ পার্টির ১০ বছরের শাসনের পর ২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসেন ট্রুডো। তিনি কানাডাকে আগের মত উদারপন্থি নীতির দিকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য শুরুতে অনেকে তাঁকে স্বাগত জানায়।
কিন্তু কানাডার অন্যতম বিখ্যাত প্রধানমন্ত্রীর ৫৩ বছর বয়সী এই বংশধর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্য ও আবাসনের ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং ক্রমবর্ধমান অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভোটারদের কাছে ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
আন্তর্জাতিকভাবে কানাডার জন্য কঠিন এক মুহূর্তে এই রাজনৈতিক তোলপাড় হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, তাঁর ভাষায়, যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী ও মাদকের প্রবাহ বন্ধ না করলে কানাডার সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তাঁর পদত্যাগের দাবীতে চাপ বৃদ্ধি পেলেও ট্রুডো সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে জনসমক্ষে মুখ খুলেননি।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com