ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের আগে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই প্রচেষ্টায় প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ।
শুক্রবার (২৩ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে 'বিষয়টির সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তিদের' বরাত দিয়ে বলা হয়, ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প 'তেহরানের উপর চাপ বাড়ানোর আগে কূটনীতি পরীক্ষা করতে ইচ্ছুক।'
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উইটকফের নতুন ভূমিকা এই অঞ্চলে 'যুদ্ধ থামাতে' ট্রাম্পের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হবে। তিনি প্রাথমিকভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দেবেন চালাবেন।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বহু নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পরমাণু সমঝোতা রক্ষায় কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে ইরান। কর্মকর্তারা বলেছে, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, যদি যুক্তরাষ্ট্র তার বাধ্যবাধকতা ভঙ্গ না করে।
এর আগে ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে করা বহুপাক্ষিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ট্রাম্প। তিনি চলতি মেয়াদেও ইরানের উপর 'ব্যাপক চাপ' দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
যদিও ইরান বরাবরই বলে এসেছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি বেসামরিক উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। চুক্তির আওতায় তারা তাদের কর্মসূচি সম্পর্কিত সব আন্তর্জাতিক উদ্বেগও সমাধান করেছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) একের পর এক প্রতিবেদনে পরমাণু সমঝোতার প্রতি ইরানের 'পূর্ণ আনুগত্য এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির' বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com