স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ১৮ তে ১৮। আইপিএলের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার বছরই খরা কাটলো বিরাট কোহলির। ১৮ বছর অপেক্ষার পর চ্যাম্পিয়ন হলেন ১৮ নম্বর জার্সিধারী। অবশেষে আইপিএল জিতলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। চতুর্থ প্রচেষ্টায়। ২০১৬ সালে কোহলির নেতৃত্বে রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। কিন্তু তরুণ অধিনায়ক রজত পাতিদারের অধিনায়কত্বে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন বেঙ্গালুরু।
অবশেষে কোহলির ক্যাবিনেটে জায়গা পেলো আইপিএল ট্রফি। এদিন সর্বোচ্চ রান বিরাটেরই (৪৩)। ব্যাক টু ব্যাক কোটিপতি লিগ জেতার রেকর্ড অধরা রইলো কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্রাত্য অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের। মেগা নিলামে ক্রুনাল পাণ্ডিয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিল আরসিবি। বেঙ্গালুরুর কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁর মতো স্মার্ট ক্রিকেটারকে দরকার ছিল তাঁদের। মঙ্গলবার রাতে মেগা ফাইনালে পার্থক্য গড়ে দিলেন ক্রুনাল।
৪ ওভারে ১৭ রানে জোড়া উইকেট তুলে নেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে প্রভসিমরন সিং এবং জস ইংলিশের উইকেট। দ্বিতীয় জনের উইকেট ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। প্রথমে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তোলে আরসিবি। জবাবে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৪ রানে থামে পাঞ্জাব কিংস। ৬ রানে জেতে আরসিবি।
বিগ ফাইনালে দুইশোর কাছাকাছি রান তাড়া করে জেতা সহজ নয়। স্নায়ুর চাপে পড়ে যায় পরে ব্যাট করা দল। পাঞ্জাবের ক্ষেত্রেও তাই হলো। শুরুটা মন্দ করেননি প্রিয়নশ আর্য (২৪) এবং প্রভসিমরন সিং (২৬)। কিন্তু বড় রান পাযননি। ৯ রানে একবার জীবন ফিরে পান প্রভসিমরন। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। শ্রেয়াস আইয়ারের উইকেট পাঞ্জাবকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে দলকে জেতালেও এদিন ব্যর্থ পাঞ্জাবের অধিনায়ক। মাত্র ২ বল ক্রিজে ছিলেন। ১ রানে ফেরেন। এখানেই দেওয়াল লিখন হয়ে যায়।
তবে যতক্ষণ ইংলিস ছিলেন, আশা ছিল। ৩৯ রানে আউট হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ে যায়। পাওয়ার প্লের শেষে বেঙ্গালুরুর রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৫৫। সেখানে পাঞ্জাবের ১ উইকেট হারিয়ে ৫২। প্রথম ৬ ওভারের শেষে দুই দলের মধ্যে কোনও পার্থক্য ছিল না। কিন্তু ক্রুনালের চার ওভার পার্থক্য গড়ে দেয়। মিডল অর্ডার পুরো ব্যর্থ। অনেকেই মেগা ফাইনালে টসে জিতে বিপক্ষের ঘাড়ে বড় রান চাপিয়ে দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু এদিন সেই সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করেন শ্রেয়াস। সেটাই বুমেরাং হয়ে ফিরলো।
এদিন টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠান শ্রেয়াস আইয়ার। বেঙ্গালুরুকে দুইশো রানের নীচে বেঁধে রাখে পাঞ্জাব। প্রশংসা করতে হবে বোলারদের। একই সঙ্গে শ্রেয়াসের ক্ষুরধার নেতৃত্বের। বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের মধ্যে পার্টনারশিপ গড়তে দেয়নি পাঞ্জাব। একাধিক ব্যাটার শুরুটা ভালো করলেও, অল্প রানের মধ্যে আউট হযন। এই তালিকায় ছিলেন মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২৪), রজত পাতিদার (২৬), লিয়াম লিভিংস্টোন (২৫) এবং জীতেশ শর্মা (২৪)। বেঙ্গালুরুর সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির। কিন্তু মন্থর ব্যাট করেন তারকা ক্রিকেটার। চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি।
নিয়মিত উইকেট হারানোয় একটা দিক ধরে রাখার চেষ্টা করেন কোহলি। খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেননি। ৩৫ বলে ৪৩ রান করে আউট হন বিরাট। মাত্র তিনটি চার। স্ট্রাইক রেট মাত্র ১২২.৮৫। অথচ শুরুটা ভালোই করেছিলেন ফিল সল্ট। কিন্তু বেশিক্ষণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি। নির্ধারিত ওভারের শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তোলে বেঙ্গালুরু। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হাসিমুখে মাঠ ছাড়েন কোহলি।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com