ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: "গত পাঁচ মাস ধরে আমরা কোনো আমিষ খাইনি। আমার ছোট ছেলের বয়স চার বছর। কিন্তু সে জানেই না যে, ফলমূল আর সবজি দেখতে কিংবা খেতে কেমন।" এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন গাজা শহরে পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাসরত ৪১ বছর বয়সী নারী রীম তৌফিক খাদার।
গাজার দুর্ভিক্ষ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, "দুর্ভিক্ষের ঘোষণা অনেক দেরিতে এসেছে, কিন্তু তবুও এটি গুরুত্বপূর্ণ।" জাতিসংঘ সমর্থিত এক প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো গাজা উপত্যকার কিছু অঞ্চল জুড়ে দুর্ভিক্ষের ঘোষণার পর সেখানকার বাসিন্দারা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ভয়াবহ ক্ষুধা কীভাবে তাদের শরীরে প্রভাব ফেলছে।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার সহায়তা প্রবেশের ক্ষেত্রে ইসরাইল ব্যাপকভাবে বাধা দিচ্ছে। তবে ইসরাইল এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। গাজা জুড়ে যে অনাহার চলছে, সে কথাও ইসরাইল অস্বীকার করেছে, যা ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী, একশোর বেশি মানবিক গোষ্ঠী ও জাতিসংঘের একাধিক সংস্থার বক্তব্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘ সমর্থিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি বলেছে, গাজা সিটি ও আশপাশের এলাকায় "সম্পূর্ণভাবে মানবসৃষ্ট" দুর্ভিক্ষ চলছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ এখন "ক্ষুধা, চরম দারিদ্র্য ও মৃত্যুর" মতো "বিপর্যয়কর" পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com