ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: চলতি বছরের মধ্যেই ভারতকে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নয়াদিল্লি অবশ্য এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মুখ খোলেনি। তবে শুক্রবার ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে ভারতকে তেল ও গ্যাস সরবরাহ নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, ভারতে রাশিয়ার তেল সরবরাহ অব্যাহত থাকবে। পাশে তখন দাঁড়িয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। তবে তার মুখের হাসি অনেক কিছুই বলে দিচ্ছিল বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্যই ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়েছে আমেরিকা। এ নিয়ে টানাপড়েন তুঙ্গে। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মোদি সরকার রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তাকে। এমনকি ইতিমধ্যে দিল্লি রাশিয়া থেকে তেল কেনার পরিমাণ কমিয়েও দিয়েছে বলে দাবি তার।
রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে অখণ্ড নীরবতা বজায় রেখেছে দিল্লি। তবে ট্রাম্পের দাবির পাল্টা কোন বিবৃতি দেয়নি। তবে হায়দরাবাদ হাউসে মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘তেল, কয়লা, গ্যাসসহ জ্বালানির জন্য যা যা প্রয়োজন, রাশিয়া তার সব কিছুই ভারতকে সরবরাহ করে আসছে। জ্বালানির এই নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে আমরা প্রস্তুত।’
সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান নিয়েও মোদির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় পুতিনের। পহেলগামে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল রাশিয়া। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, ‘যেভাবেই হোক সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতেই হবে।’ এ দিনও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়ার বার্তা দেন পুতিন। তার কথায়, ‘ভারত এবং রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াই করে আসছে। এই লড়াই চলবে।’
এ দিন কিছুটা রসিকতাও করেন পুতিন। বৃহস্পতিবার ডিনারের জন্য মোদিকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তারপর মোদির প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দীর্ঘদিন ধরেই কথা হচ্ছে। তিয়ানজিনের SCO সামিটেও আমাদের কথা হয়।’
ব্রেকিং নিউজ, এই মুহূর্তের খবর, প্রতিদিনের সর্বশেষ খবর, লেটেস্ট নিউজ এবং গুরুত্বপূর্ণ আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন www.bangladeshglobal.com