ঢাকা      রবিবার, ০২ জুন ২০২৪, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

চেন্নাইয়ের বিদায়, টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে অফে বেঙ্গালুরু

IMG
19 May 2024, 5:56 AM

স্পোর্টস ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: ছয়ে ছয় রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর।‌ আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে প্লে অফে বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে ২৭ রানে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করলেন ডু'প্লেসিরা।‌

প্লে অফের যোগ্যতা অর্জনের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। কিন্তু ৭ উইকেটে ১৯১ রানে আটকে যায় গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।‌ ওভারের প্রথম বলেই ছয় ধোনির। ৫ বলে প্রয়োজন ১১ রান। জাদেজা-ধোনির আয়ত্তের মধ্যে। কিন্তু দ্বিতীয় বলেই আউট ধোনি। তৃতীয় বলে রান নিতে পারেননি শার্দূল। চতুর্থ বলে নিলেও, শেষ দুই বলে ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি জাদেজা।

প্রশংসা প্রাপ্য যশ দয়ালের। প্রথম বলে ধোনির বিশাল ছয়ের পর দারুণভাবে ম্যাচে ফেরেন। এই যশকেই আগের আইপিএলে ছয়টি ছক্কা মারেন রিঙ্কু সিং। এদিন ৫ বলে ১১ রান হতে না দিয়ে যেন সেদিনের প্রায়শ্চিত্ত করলেন। দুই দলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে ধোনিদের পেছনে ফেলে দিলেন কোহলিরা।

এ নিয়ে মাত্র তিনবার প্লে অফের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ চেন্নাই। অন্যদিকে নবমবার প্লে অফে উঠলো বেঙ্গালুরু। একটা সময় টানা ছয় ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতে ছিল আরসিবি। প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত ছিলই না। কিন্তু অনবদ্য কামব্যাক। টানা ছয় ম্যাচ জিতে যোগ্য দল হিসেবেই শেষ চারে ডু'প্লেসিরা।‌ শেষ বলের পর মাঠে আবেগের বিষ্ফোরণ। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন বিরাট কোহলি। ছুটে এসে জড়িয়ে ধরেন অধিনায়ককে। আবেগ ছড়িয়ে যায় গ্যালারিতেই। চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি আনুশকা শর্মা।

দু'দলের জন্যই মরা-বাঁচার ম্যাচ ছিল। হারলেই বিদায়। তার মধ্যেও কিছুটা এগিয়ে ছিল চেন্নাই। হারলেও রান রেটে এগিয়ে থাকার একটা সুযোগ ছিল। সেক্ষেত্রে পরের রাউন্ডের ছাড়পত্র মিলত‌ো।‌ এমন অবস্থায় পুরো ২০ ওভারের ম্যাচ চেয়েছিল দুই দলই। বিশেষ করে বেঙ্গালুরু। বৃষ্টির জন্য খেলা ভেস্তে গেলে প্লে অফে চলে যেতো চেন্নাই।

বৃষ্টির জন্য খেলা আধ ঘণ্টার বেশি বন্ধ থাকলেও ওভার কাটা যায়নি। টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠান ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রথমে ব্যাট করা মানে ন্যূনতম ১৮ রানের ব্যবধানে জিততে হবে বেঙ্গালুরুকে। সেই অনুযায়ী বড় রান তোলার লক্ষ্যে শুরুটা বিধ্বংসী মেজাজে করেন বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু'প্লেসি। কিন্তু বৃষ্টির জন্য ৩ ওভারের শেষে খেলা থামাতে হয়। বৃষ্টির পর সমস্যায় পড়ে বেঙ্গালুরুর ওপেনিং জুটি।

দুই স্পিনার থিকসানা এবং স্যান্টনারকে খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল বিরাট, ডু'প্লেসির। পাওয়ার প্লের শেষে ৪২ রান ছিল। মাত্র ৩ রানের জন্য অর্ধশতরান হাতছাড়া করেন কোহলি। ৪টি ছয়, ৩টি চারের সাহায্যে ২৯ বলে ৪৭ রান করেন। অর্ধশতরান পান ডু'প্লেসি। ৩৯ বলে ৫৪ রান করেন আরসিবির অধিনায়ক। ইনিংসে ছিল ৩টি চার এবং ছয়।

চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছেন রজত পাতিদার। এদিনও জ্বলে উঠলেন। ৪টি ছয়, ২টি চারের সাহায্যে ২৩ বলে ৪১ রান করেন। ১৭ বলে দ্রুত ৩৮ রান করেন ক্যামেরুন গ্রিন। শেষদিকে দ্রুত রান তোলেন কার্তিক এবং ম্যাক্সওয়েল। শেষ চার ওভারে ৬৩ রান তোলে আরসিবি। ২০ ওভারের শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান বেঙ্গালুরুর।

চেন্নাইয়ের সামনে লক্ষ্য ছিল ২০১ রানের। হারলেও এই রান তুললে প্লে অফের ছাড়পত্র পেয়ে যেতেন ধোনিরা। কিন্তু শুরুতেই বিপর্যয়। ১৯ রানে জোড়া উইকেট হারায়। প্রথম বলেই শূন্য রানে ফেরেন ঋতুরাজ। ৪ রানে আউট হন ড্যারেল মিচেল। চেন্নাইয়ের একমাত্র সফল ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র। একাই খেললেন। ৩১ বলে অর্ধশতরানে পৌঁছে যান। তাঁকে কিছুটা সঙ্গত দেন আজিঙ্কা রাহানে। তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে এই জুটি। ৩৩ করে ফেরেন রাহানে।

তারা ব্যাট করার সময় ম্যাচে ছিল চেন্নাই। কিন্তু রাচিন রবীন্দ্র রান আউট হতেই অঙ্ক বদলে যায়। ৩৭ বলে ৬১ রান করেন কিউই অলরাউন্ডার। ইনিংসে ছিল ৩টি ছয়, ৫টি চার। শিবম দুবের ভুলে আউট হন রচিন। নিজেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১৫ বলে ৭ রান করে আউট হন দুবে। মিচেল স্যান্টনারের অসাধারণ ক্যাচ ধরেন ডু'প্লেসি। ১৫ তম ওভারে ১২৯ রানে ৬ উইকেট হারায় চেন্নাই। ম্যাচ অনেকটাই বেঙ্গালুরুর দখলে চলে যায়।

কিন্তু তখনও বাকি ছিল রবীন্দ্র জাদেজা-মহেন্দ্র সিং ধোনির বিপজ্জনক জুটি। এর আগে এই জায়গা থেকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন দু'জন। এবারও অনেকটাই সেদিকেই গড়াচ্ছিল। কিন্তু ১৩ বলে ২৫ রান করে ধোনি আউট হতেই ফের বদলে যায় ম্যাচের রং। শেষদিকে স্ট্রাইক পাননি জাদেজা। ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে ট্র্যাজিক নায়ক চেন্নাইয়ের অলরাউন্ডার।

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন