না শোধরালে মজুতদারদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর
নওগাঁ, বাংলাদেশ গ্লোবাল: অবৈধ মজুতদাররা না শোধরালে জেলে যেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। রবিবার সকালে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সরকারি কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, শুধু জরিমানা করেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে শোধরাতে হবে। অন্যথায় জেলে যেতে হবে। দেশের মানুষের সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে খাদ্যশস্যের কোনো ঘাটতি নাই। সাধারণ মানুষের জন্য সরকারিভাবে ওএমএস চালু আছে। ডিজিটাল কার্ড প্রস্তুত হয়েছে। শীঘ্রই ডিজিটাল কার্ডের মাধ্যমে ওএমএস বিতরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আনতে হলে ব্যবসায়ীদের অধিক লাভের মনোভাব পরিবর্তন করতে হবে। চালের দাম বৃদ্ধির পিছনে মিলার, পাইকারি ব্যবসায়ী ও খুচরা ব্যবসায়ীসহ সকলের দায় আছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স’ স্পটে গিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের বলা হয়েছে। অনেকে আবার ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটা লাইসেন্স নিয়ে কোটি কোটি টাকার পণ্য মজুত করে ফেলে। এটা তো হতে পারে না।
খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন আইন ২০২৩ পাস হয়েছে। বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। এটি মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আরো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।
পুনরায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আস্থা রেখেছেন তা পূরণে সবসময় সচেষ্ট থাকবেন বলেও জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রমের খোঁজ খবর নেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন খাদ্যমন্ত্রী। একই সময় মজুত বিরোধী অভিযানকালে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কর্মস্থলে অবস্থান করার আদেশ জারি করতে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে টেলিফোনে নির্দেশনা দেন তিনি।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মো: গোলাম মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাশেদুল হক ও সিভিল সার্জন আবু হেনা রায়হানুজ্জামান সরকারসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
