ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাবে পাকিস্তানে আনন্দ-উৎসব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনার আহমদ মারুফ। আজ সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে তিনি এই কথা বলেন।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়, “হাইকমিশনার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় এর প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে উল্লেখ করে বলেন, সে সময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে।”
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পাকিস্তান সরকার নানাভাবে বার্তা দিচ্ছে। ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনারও ব্যস্ত সময় পার করছেন।
রোববার তিনি দেখা করেন তথ্য ও সম্প্রচার, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে; বলেন, “আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহী।"
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকেও একই ধরনের বার্তা দেন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে ‘শুষ্কতা’ পরিলক্ষিত হয়েছে মন্তব্য করে তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বানও জানান তিনি।
দুই পক্ষ পারস্পরিক ভিসা সহজীকরণের বিষয়ে সম্মত হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের দূত বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তান নতুন ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ সহ ১২৬টি দেশের নাগরিকগণ ভিসা ছাড়া পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবে।”
তিনি পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আহমদ ফারুক জানান, ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ছিল, যা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) অপারেট করত। সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা সহজিকরণ, সরাসরি ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতা সহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে মানব পাচার প্রতিরোধ, সন্ত্রাস দমন ও কৃষি গবেষণা খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয় বলেও উল্লেখ আছে এতে।
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য উপকরণ দিয়ে সহায়তার আশ্বাসও দেন পাকিস্তানের দূত।
বর্তমান সরকারের বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বলে দুজন একমত প্রকাশ করেন।
ঢাকায় পাকিস্তান হাইকমিশনের কাউন্সেলর কামরান ধাঙ্গাল ও জাইন আজিজ সহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ গ্লোবাল/এফআর
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com