ঢাকা      রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
শিরোনাম

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে কায়রো আলোচনায় অচলাবস্থা

IMG
06 May 2024, 8:03 AM

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক, বাংলাদেশ গ্লোবাল: গাজায় যুদ্ধ বিরতি অর্জনের লক্ষ্যে সর্বশেষ বৈঠক কায়রোতে “গভীর এবং গুরুতর আলোচনার” পর শেষ হয়েছে। হামাস আরও জানায়, তারা তাদের মূল দাবিগুলো পুনরায় উত্থাপন করে, যেগুলো ইসরাইল আবার প্রত্যাখ্যান করে। শুরুর দিকে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিতের পর দৃশ্যপট পুনরায় মলিন হয়ে যায় এবং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করার অঙ্গীকার করেন।

গাজায় প্রায় সাত মাস ধরে চলা যুদ্ধ তারা কীভাবে থামাতে পারে তা নিয়ে ইসরায়েল এবং হামাস রবিবার অচলাবস্থায় পৌঁছায়। এই যুদ্ধ হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছে এবং ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে।

কায়রোতে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বলেন, ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি চায় যা ইসরাইলি "আগ্রাসন" বন্ধ করবে এবং গাজা থেকে ইসরাইলের প্রত্যাহার নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে, হামাস ইসরাইলের জেলে থাকা শত শত বন্দীর বিনিময়ে প্রায় ১০০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিবে।

এক বিবৃতিতে হানিয়াহ "আগ্রাসন অব্যাহত রাখা এবং সংঘর্ষের মূল কারণগুলো সম্প্রসারণের জন্য” ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করেন। তিনি নেতানিয়াহুকে “মধ্যস্থতাকারী এবং অন্যান্য পক্ষের মাধ্যমে করা প্রচেষ্টাকে ধ্বংস করার" জন্য দায়ী করেন। আলোচকরা কয়েক সপ্তাহ ধরে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ব্যর্থ হয়েছেন।

জেরুজালেমে নেতানিয়াহু যুদ্ধের কোনোরকম সমাপ্তি প্রত্যাখ্যান করেন যা হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণে রেখে দিবে এবং ইহুদি রাষ্ট্রের জন্য ক্রমাগত হুমকি সৃষ্টি করবে। গাজা ভূমধ্যসাগরের ধারে একটি সরু অঞ্চল। তিনি বলেন, "যদিও ইসরাইল সদিচ্ছা দেখিয়েছে, হামাস তাদের দাবির চরম অবস্থান থেকে অনড়। দাবিগুলোর মধ্যে প্রথমে গাজা ভূখন্ড থেকে আমাদের সকল বাহিনী সরিয়ে নেওয়া, যুদ্ধ শেষ করা এবং হামাসকে ক্ষমতায় রেখে দেওয়ার দাবি রয়েছে।"

তিনি জানন, "ইসরাইল এটা মেনে নিতে পারে না। হামাস বারবার তার হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ এবং অপহরণ করার প্রতিশ্রুতি অর্জন করতে সক্ষম হবে।" নেতানিয়াহু ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি এবং জেলে বন্দী ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ে কিছু জিম্মির মুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন। একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হোক বা না হোক, বাকি চারটি হামাস ব্যাটালিয়নকে নির্মূল করতে তিনি গাজা-মিশর সীমান্তের কাছে রাফায় একটি স্থল আক্রমণ শুরু করার জন্য বারবার অঙ্গীকার করেছেন।

ইসরাইলের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে বলেছে, তারা রাফায় একটি নতুন আক্রমণের কঠোর বিরোধী। রাফা ইতিমধ্যেই ইসরাইলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলেন, কায়রোতে হামাস নেতারা যুদ্ধবিরতি আলোচনার দ্বিতীয় দিনে মিশরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীদের সাথে বৈঠক করেন, কিন্তু কোন দৃশ্যমান অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি ।

মধ্যস্থতা প্রচেষ্টাকারীদের কাছের একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, হামাসের প্রতিনিধি দল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর দৃঢ় সংকল্প নিয়ে কায়রোতে পৌঁছেছে, "কিন্তু যেকোনো মূল্যে চুক্তির জন্য নয়।"

সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com

সর্বশেষ খবর

আরো পড়ুন