ঢাকা, বাংলাদেশ গ্লোবাল: দুর্নীতিবাজরা যে দলেরই হোক তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির নামে মিথ্যাচারকারীরা দুদকে এখনো সক্রিয়, তাদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।
শনিবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে দুর্নীতি দমন কমিশন আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি মনে করি দুর্নীতিবাজদের ধরতে কমিশনই যথেষ্ট নয়, সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় আনতে কৌশলী ও আন্তরিক হওয়ারও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দুদককে আইন মেনে কাজ করতে হবে। এজাহার হলেই চার্জশিট দিতে হবে, দুদকের একজন চেয়ারম্যানের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেন তিনি।
দুদকের কোনো ভুল পদক্ষেপে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য প্রতিষ্ঠানটিকে নৈতিকতা মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বলেই চলমান ও বাস্তবায়নে থাকা মেগা প্রকল্প নিয়ে কোনো অভিযোগ আসেনি বলেও মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সাহাবুদ্দিন বলেন, কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাধা দুর্নীতি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে পথ বঙ্গবন্ধু দেখিয়ে গেছেন নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারো সেই পথ ধরে এগিয়ে চলছে দেশ। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বেড়েছে মাথাপিছু আয় ও গড়আয়ু।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। নির্মিত হয়েছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। বাস্তবায়িত হয়েছে পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর, কর্ণফুলী বহুমুখী টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মতো মেগা প্রকল্প।
অনুষ্ঠানে দুদকের চেয়ারম্যানসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, দুর্নীতিবাজকে সাহায্য বা স্বজনপ্রীতিও দুর্নীতি। জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হলেও দুর্নীতি বেড়েছে। এতে প্রমাণ হয় লোভের কারণে দুর্নীতি হচ্ছে। দুদক পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন শক্তিশালী হয়েছে। কেবল সেবার বিনিময়ে ঘুস নেওয়াই দুর্নীতি নয়, দায়িত্ব পালন না করাও দুর্নীতি।
অন্যদিকে দুদক কমিশনার (তদন্ত) জহুরুল হক বলেন, দেশ থেকে নানা উপায়ে অর্থপাচার হচ্ছে। শিক্ষিত ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী দেশের টাকা পাচার করছে। ওভার ইনভয়েসিং আন্ডারভয়েসিং করে অর্থ পাচার হচ্ছে।
সবশেষ খবর এবং আপডেট জানার জন্য চোখ রাখুন বাংলাদেশ গ্লোবাল ডট কম-এ। ব্রেকিং নিউজ এবং দিনের আলোচিত সংবাদ জানতে লগ ইন করুন: www.bangladeshglobal.com